Mamata Banerjee in Jalpaiguri: কীভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন তারা, সেদিনের ঘটনা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রীকে

Last Updated:

নিজের সন্তানকে বাঁচাতে পারলেও, বাঁচাতে পারেননি বাড়ির আর এক ছেলেকে।

কীভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন তারা, সেদিনের বর্ণনা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রীকে
কীভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন তারা, সেদিনের বর্ণনা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রীকে
আবীর ঘোষাল, মালবাজার: নিজের সন্তানকে রক্ষা করতে পারলেও, বাঁচাতে পারলেন না বাড়ির আর এক ছেলেকে। তাই সন্তান হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই মালবাজারে বসে আছেন মিতালী অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন অধিকারী বাড়িতে ৷
মালবাজারের বর্ধিষ্ণু পাড়ায় বসবাস করেন অধিকারী পরিবার। এই পরিবারের সকলের সঙ্গেই মালবাজারের এলাকার মানুষের দারুণ পরিচয়। অধিকারী পরিবার হারিয়েছে দু’জনকে। আর সেদিনের ঘটনা মনে করতে গিয়ে কার্যত নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা উল্লেখ করছেন মিতালী অধিকারী। সেদিন কী অবস্থা হয়েছিল, কীভাবে রক্ষা করেছিলেন তার সবটাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাদের বাড়িতে এসে সব কথা শুনেছেন এতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি ৷ স্বামী, ভাসুর, জা, ভাসুরের ছেলে, নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে মাল নদীর ঘাটে ভাসান দেখতে গিয়েছিলেন তারা।
advertisement
advertisement
মিতালী দেবী জানিয়েছেন, ‘‘আমরা বাড়ির সকলে এক সাথেই ভাসান দেখতে যাই। এবারও গিয়েছিলাম। সবাই আনন্দ করেছি। স্থানীয়দের অনেকের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। এবারে যেহেতু ভাসানের জায়গা বদল করা হয়েছে, তাই আমরা অনেকেই চেয়েছিলাম ভাসানের জল মাথায় ছুঁয়ে আসতে৷ আমরা তখন ওখানে যাই ৷ গাড়ি নামার রাস্তা করা হয়েছিল। সে অর্থে জল ছিল না। কারণ একদিকে বোল্ডার ফেলে নদীর স্রোত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে মানুষ সেই দিকেই যাচ্ছিল। এরই মধ্যে নদীর জল যখন বাড়তে শুরু করে দেয়, তখনই মাইকে ঘোষণা করা হয়, সবাই নদী ছেড়ে উঠে চলে আসুন। আর তখনই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আমি আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে জলে পড়ে যাই। জলের স্রোতে আমার ছেলে ভেসে  যাচ্ছিল। আমি ওর হাত ধরে আটকানোর চেষ্টা করি। আমার নীচে ও পড়ে যায়। এরপর আমাদের ওপর দিয়ে লোক চলে যাচ্ছিল। এক পুলিশ কর্মী আমাদের টেনে তোলার চেষ্টা করলেও তিনি পারেননি। এরই মধ্যে আমার স্বামী চলে আসেন। ওই অবস্থায় তিনি আমাদের টানেন। এর মধ্যে অপর এক পুলিশ আমাকে পাঁজাকোলা করে তোলে। আমার স্বামী আমার ছোট ছেলেকে তুলে আনে।’’
advertisement
মিতালীদেবীর বক্তব্য অনুযায়ী, সেই দিন যা অবস্থা হয়েছিল তাতে  আমি আমার সন্তান সৌম্যজিতকে হারিয়ে ফেলতাম। অনেক কষ্টে আমরা উদ্ধার হয়েছি। আমার বড় ছেলে আবার ভেসে গিয়ে একটা পাথরে আটকে যায়। আমরা সবাই প্রাণে বেঁচে গেলেও, আমার দেওরের ছেলেকে আমরা কেউ বাঁচাতে পারলাম না। অধিকারী পরিবারের এই অবস্থা দেখে শোকে কাতর গোটা এলাকা। তবে মিতালীদেবী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর কোনও দিন ভাসানের ঘাটে যাবেন না তিনি।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Mamata Banerjee in Jalpaiguri: কীভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন তারা, সেদিনের ঘটনা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রীকে
Next Article
advertisement
সকালে মা দরজা খুলতেই...বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
  • সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ

  • দেগঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘনাচ্ছে রহস‍্য।

  • পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মদ্যপানের আসরেই খুন করা হয়েছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement