Justice Abhijit Ganguly: 'শুনানির দিন কলে জল আসে', চেয়ার ছেড়ে নেমে এলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তারপর...
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
- Reported by:SUROJIT DEY
Last Updated:
Justice Abhijit Ganguly: ২০১৯ সাল থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেবদুল্লা গ্রামে জলকষ্ট চলছিল...
জলপাইগুড়িঃ ২০১৯ সাল থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেবদুল্লা গ্রামে জলকষ্ট চলছে। বহু আবেদন নিবেদনের পরেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আদালতের দারস্থ হন জলকষ্টে থাকা কিছু পরিবার। যার মধ্যে অধিকাংশই আদিবাসী চা শ্রমিক পরিবারের সদস্য।
সোমবার মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। বিষয়টি শোনার পরে সমস্যার গোড়া খুঁজতে মঙ্গলবার দুপুরে এজলাসে ডেকে পাঠান অভিযোগকারীদের। শুনানির শুরুতে গ্রামবাসীদের বক্তব্য ভাল করে শুনতে পাচ্ছিলেন না বিচারপতি। শুনতে না পেয়ে নিজের আসন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর গ্রামবাসীদের সামনে এসে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এজলাসের আধিকারিকদের চেয়ারে বসে মামলা শোনেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হুড়মুড়িয়ে ওজন কমায় ফুলকপি? এও সম্ভব…! শুধু জেনে নিন কীভাবে খেতে হবে
এরপর আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের AEO, PHE দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার, ওই প্রকল্প রক্ষনাবেক্ষনের ঠিকাদার-সহ আরও কয়েকজনকে দুপুর দু’টোয় তার এজলাসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী সন্দীপ মণ্ডল বলেন, নকশালবাড়ির সেবদুল্লা গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে জলকষ্টতে জর্জরিত। সমস্যা সমাধানে তারা আদালতের দারস্থ হন। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে লক্ষ্য করা যায় এই মামলার যখনই শুনানির দিন আসে তখনই কল দিয়ে জল পড়তে শুরু করে। যেই শুনানি হয়ে যায় আবার জল বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যা বুঝতে বিচারপতি আজ মামলাকারীদের তার এজলাসে ডেকে পাঠান। কিন্তু শুনানি শুরু হওয়ার পর বিচারপতি তাঁদের কথা ভাল করে শুনতে পাচ্ছিলেন না। এরপর বিচারপতি নিজেই নিচে নেমে এসে মামলা শোনেন। একজন বিচারক বিচার প্রার্থীদের কাছে এসে মামলা শুনছেন। এই দৃশ্য আমি প্রথম দেখে অভিভূত হলাম।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ ঘুম ঘুম ভাব, ক্লান্তি পিছু ছাড়ে না! এই কয়েকটি খাবারেই কেল্লাফতে, মিলবে তেজি ঘোড়ার এনার্জি
দীপু হালদার নামে এক বিচার প্রার্থী বলেন, আমাদের গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জলকষ্ট। এরপর আমরা PHE দফতরে আবেদন করলে আমাদের গ্রামে কল লাগিয়ে দেওয়া হয়। জল সমস্যা মিটে যায়। এরপর উদ্যোগ নেওয়া হয় বাড়ি বাড়ি কানেকশন দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার। আমার বাড়িতেও সংযোগ দেওয়া হয়। এরপর আমার বাড়ির কল দিয়ে জল পড়ছে দেখিয়ে দিয়ে আমার থেকে আঁধার কার্ডের জেরক্স নিয়ে নেওয়া হয়। তার পর থেকে আর জল পাচ্ছিলাম না। বিষয়টি বিভিন্ন মহলে দরবার করে সুরাহা না হওয়ায় আমরা আদালতের দারস্থ হই।
advertisement
সরকার পক্ষের আইনজীবী হীরক বর্মন বলেন অভিযোগ সঠিক নয়। কারন এই প্রকল্পের কাজ এখোনও চলছে। মাঝেমধ্যে হাতির হানা কিংবা ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য পাইপ ফেটে জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিচারপতি আজ মামলাকারীদের ডেকেছিলেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে পাঁচজন জানিয়ে গিয়েছে তারা জল পাচ্ছেন। আজ অন্যান্যদেরও ডেকেছিলেন। সবকিছু শুনবার পর আগামিকাল ওই প্রকল্প রক্ষনাবেক্ষনের ঠিকাদার, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের AEO, PHE দফতরের ইঞ্জিনিয়ার-সহ অন্যান্যদের ফের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
advertisement
সুরজিৎ দে
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
December 06, 2023 10:10 AM IST