#শিলিগুড়ি: এর আগে বহু বনধ দেখেছে পাহাড় থেকে সমতল। বহু হরতাল, শিল্প ধর্মঘট দেখেছে। পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যাণ্ড ইস্যুতে ২০১৭ সালে টানা ১০৪ দিনের পাহাড় বনধ দেখেছে এই শহর। এমনকী ২০১৭ সালে পাহাড়ে আলাদা রাজ্যের দাবী আদায়ে বিমল গুরুংয়ের ডাকে "ঘর কি ভিতরি জনতা" আন্দোলনও দেখেছে।
তবে আজকের জনতা কার্ফুর ছবিটা একেবারেই ভিন্ন। যা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন সময়ে ডাকা বনধকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলের ডাকা বনধেও ১০০ শতাংশ দোকানপাটের ঝাপ বন্ধ হয়নি। মিশ্র সাড়া পড়েছিল। পাড়ার মোড়ের দোকানও খোলা থাকে। আজ পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্রই এক ছবি। শ্বশানের নিস্তব্ধতা। রাস্তায় কারোরই দেখা মেলেনি। দার্জিলিংয়ের ম্যাল, চৌরাস্তা জন শূণ্য। মিরিকের লেক থেকে কার্শিয়ংয়ের ডাউহিল। শুধুই ফাঁকা। কোথায় চায়ের দোকানে বসে রবিবাসরীয় আড্ডার ছবি চোখে পড়েনি! সব মানব শূণ্য।
আগেই দেশ-বিদেশের পর্যটকদের পাহাড়ে ঘোরায় "না" করে দিয়েছে গোর্খাল্যাণ্ড টেরিটোরিয়াল এডমিনিস্ট্রেশন। তাই পাহাড় এখন পর্যটক শূণ্য। একই ছবি কালিম্পংয়ের বিভিন্ন জায়গাতেও। ঘরে বসেই মারণ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই! এক অন্য লড়াই! রাস্তায় সরকারী বাস কিছু নামলেও যাত্রীর দেখা নেই। পরিষেবা দিতে সরকারী বাস রাস্তায় নামে। তবে বেসরকারী বাস নামেইনি। পাহাড়ের রাস্তায় নামেনি মোটর বাইকও! করোনা মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য এবং কেন্দ্র। আর আজ যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিল পাহাড় থেকে সমতল। প্রয়োজনে আরো কয়েক দিন ঘরবন্দী থাকতে চায় বাসিন্দারা। আর দিনের শেষে ঘড়ির কাঁটা যখন পাঁচটার ঘরে। আরো এক অন্য ঘটনার সাক্ষী রইল পাহাড় থেকে সমতল। কেউ কাঁসর বাজিয়ে। কেউ বা ঘন্টি বাজিয়ে। আবার কেউ থালা বাসন নিয়ে বাড়ির ব্যালকনিতে হাজির। অনেকেই আবার দিলেন করতালি! সঙ্গী মোবাইল টর্চ জ্বালিয়ে। পাঁচ মিনিটের শব্দের মধ্য দিয়ে সেলুট জানালেন এই সময়ে যারা রাস্তায় নিজেদের পেশায় নিয়জিত।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Janta Curfew, North Bengal, উত্তরবঙ্গ, করোনা ভাইরাস, জনতা কারফিউ