Hidden Treasure: চিলাপাতার জঙ্গলে দেড় হাজার বছর পুরনো 'নল রাজার গড়'-এর খোঁজ! কী মিলবে সেখানে, বিরাট আগ্রহ!
- Published by:Pooja Basu
- Reported by:RAJKUMAR KARMAKAR
Last Updated:
দেড় হাজার বছরের পুরনো স্থাপত্য 'নল রাজার গড় 'খুজতে চিলাপাতার গভীর জঙ্গলে উপাচার্য, অধ্যাপক ও প্রশাসনিক কর্তারা। চিলাপাতার গড়কে পর্যটন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্তের ঘোষণা মহকুমা শাসকের।
আলিপুরদুয়ার: উত্তরের পর্যটন মানচিত্র পাচ্ছে পর্যটনের নতুন ঠিকানা। দেড় হাজার বছরের পুরনো স্থাপত্য ‘নল রাজার গড়আলিপুরদুয়ারে খুজতে চিলাপাতার গভীর জঙ্গলে উপাচার্য, অধ্যাপক ও প্রশাসনিক কর্তারা। চিলাপাতার গড়কে পর্যটন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্তের ঘোষণা মহকুমা শাসকের।
দেড় হাজার বছর আগে তৈরি ‘নল রাজার গড় ‘ দেখতে গভীর জঙ্গলে ঢুকল হেরিটেজ কমিটি । আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক দেবব্রত রায়, আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরিৎ কুমার চৌধুরী, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডি এফ ও পারভিন কাশোয়ানকে সঙ্গে নিতে হেরিটেজ কমিটি চিলাপাতার গভীর জঙ্গলে ঢুকেছেন।
সেখানে গুপ্ত যুগের স্থাপত্য নল রাজার গড়ের প্রবেশ দ্বার দেখতে পান তারা। বেশ কিছুক্ষণ থেকে নল রাজার গড়কে দেখেন তারা। গভীর জঙ্গল হওয়ায় এদিন হেরিটেজ কমিটিকে আর বেশি ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
advertisement
advertisement
জঙ্গলের বাইরে এই নল রাজার গড় সম্পর্কে মানুষদের ভাবনা ও চিন্তারও খোঁজ করেন হেরিটেজ কমিটি। এই কমিটিতে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল ও বেশ কিছু অধ্যাপক , শিক্ষক ও গবেষক রয়েছেন। বিধায়কের উদ্যোগে এই প্রথম জেলায় হেরিটেজ কমিটি গঠিত হয়েছে। এই নল রাজার গড়কে কেন্দ্র করে পর্যটন ও গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে চায় আলিপুরদুয়ার হেরিটেজ কমিটি । এই কমিটির সহ সভাপতি বিশ্বিজিৎ রায় বলেন, “ আলিপুরদুয়ার জেলা মানেই শুধু অরণ্য ঘেরা একটি ভুখন্ড নয় । এখানে সভ্যতা ও সংস্কৃতি যথেষ্ট বিকশিত। এখানে বহু শতাব্দি ধরে মানুষ সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশ দেখেছেন ও তাতে অংশ গ্রহন করেছে। এই বার্তা আমরা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাই। সেই উদ্দেশ্যেই আমরা গভীর জঙ্গলে এই গুপ্ত যুগের নিদর্শনের কাছে পৌঁছেছি । “
advertisement
নল রাজার গড় একটি প্রাচীন পুরাত্বিক স্থাপনা। ১৯৬৮-৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরাতাত্বিক বিভাগের তৎকালীন ডিরেক্টর পরেশ চন্দ্র দাশগুপ্তের নেতৃত্বে এখানে উৎখনন হয়। সেই উৎখননের রিপোর্টে এই নল রাজার গড়কে একটা প্রাচীন দুর্গ বলা হয়েছে। এটি দেড় থেকে দুই হাজার বছরের পুরনো একটি স্থাপত্য । এটি গুপ্ত যুগের সামরিক শক্তি ও প্রশাসনিক কেন্দ্রের পরিচায়ক।
advertisement
এদিন আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরিৎ কুমার চৌধুরী বলেন, “ এই স্থাপনাকে স্থানীয় এলাকার অর্থনৈতিক উপযোগী করে তোলার পাশাপাশি গবেষণা ও পর্যটনের বিকাশে কাজে লাগানোর জন্য আমরা কাজ করতে চাই। সেই কারণে এই স্থাপত্যকে কাছে থেকে দেখতে এসেছি।”আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার বলেন, “ আমরা সঠিকভাবে এই স্থাপত্যকে সরকারের কাছে তুলে ধরতে পারলে এর সংস্কার ও সংরক্ষনে তহবিল পেতে পারি । এছাড়া এই স্থাপত্য জেলার পর্যটনের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা নিতে পারে। “জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডি এফ ও পারভিন কাশোয়ান বলেন, “ সরকার আমাদের যেমন নির্দেশ দেবেন আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করব । এটি পর্যটকদের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণে পরিনত হতে পারে। “
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
June 08, 2025 9:27 AM IST