#শিলিগুড়ি: করোনা এবং লকডাউনের জেরে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পর্যটন শিল্প। মাসের পর মাস বন্ধ ছিল পর্যটন শিল্প। কার্যত মাথায় হাত উঠে গিয়েছিল পর্যটনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বহু মানুষের। অনেকেই কাজও হারিয়েছেন। আবার অনেক পর্যটন ব্যবসায়ী পেশা বদলে ফেলেছিল। আনলকের পর নিউ নর্মালে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে শৈল শহর। মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পর্যটন শিল্পও। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো। ভিড় বাড়াচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমনপিপাসুরা। কোভিড বিধি মেনেই চলছে ঘোরাফেরা। উত্তরের অর্থনীতির মূল কাণ্ডারী পর্যটন শিল্পের প্রসারে এবারে উদ্যোগী রাজ্য পর্যটন দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হচ্ছে তিন দিনের "বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভ্যাল"। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই কার্নিভ্যাল। পাহাড় ও সমতলের তিন কেন্দ্রে তিন দিনের ওই কার্ণিভাল।ওই সময়টা ফেস্টিভ মরসুম। তাই ভ্রমনপিপাসুদের কাছে উত্তরের পর্যটনের প্রসারেই এই আয়োজন। সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভলোপমেন্ট এণ্ড নেটওয়ার্ক এবং সি আই আই। ৫ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিংয়ের চকবাজারে এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। আয়োজন করা হয়েছে স্থানীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। থাকবে পর্যটনকেন্দ্রীক স্টল। যেখানে হোম স্টে থেকে জিটিএ'র স্টলও থাকবে। মূলত পর্যটকদের কাছে ঘোরার নতুন ঠিকানা সহ সুযোগ, সুবিধের যাবতীয় তথ্য মিলবে ওই কার্ণিভালে। পরদিন অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি কার্ণিভাল হবে কালিম্পংয়ের ডেলোতে। সেখানেও দিনভর নানান অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকবে পর্যটন নিয়ে আলোচনা সভাও। আর শেষ হবে গজলডোবার " ভোরের আলোয়"।এখানেও বসবে নানান স্টল। আলোচনা হবে পর্যটনের প্রসার নিয়ে। আজ শিলিগুড়িতে নিজের দপ্তরে এনিয়ে বৈঠক শেষে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতেই এই উদ্যোগ। নিউ নর্মালে পর্যটকদের পাহাড় ও ডুয়ার্সমুখী করতেই এই কার্ণিভালের লক্ষ্য। পর্যটন ব্যবসায়ীরা কার্ণিভালের আয়োজনে খুশী। কেননা ধীরে ধীরে ভিড় বাড়ছে পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সের সবুজ গালিচায়। করোনা এবং লকডাউনে যে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল, তা এত দ্রুত কাটিয়ে তোলা সম্ভব নয় ঠিকই। কিন্তু শিল্পকে পর্যটকদের দুয়ারে পৌঁছে দিতে অনেকটাই সুযোগ এনে দেবে।