#জলপাইগুড়ি: আর্থিক অনটনের কারণে বিয়ের আয়োজনে অসুবিধা, এগিয়ে এলেন বানারহাট থানার পুলিশ এবং আই সি করলেন কন্যা সম্প্রদান। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার অভাবের কারণে মেয়ের বিয়ে ঠিক হলেও বিয়ের আয়োজন করতে পারছিলেন না মেয়ের বাবা দিলীপ ভাওয়াল। একশো দিনের কাজ করে কোনও রকমে ৫ জনের সংসার চালান তিনি। কীভাবে হবে বিয়ের আয়োজন? (Bangla News)
এই কথা ভেবে যখন যখন কিনারা খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি, ঠিক তখনই তাঁর পরিত্রাতা হয়ে পাশে দাঁড়াল বানারহাট পুলিশ। আর্থিক ভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি কন্যা সম্প্রদানের গুরুদায়িত্ব ও নিজের কাঁধে তুলে নিলেন বানারহাট থানার আই সি। পুলিশের এই মানবিক কাজ নজর কেড়েছে গয়েরকাটাবাসীর। বানারহাট থানার অন্তর্গত পূর্ব গয়েরকাটায় ৫ জনের সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি হলেন দিলীপ বাবু। বয়সের কারণে তিনিও নানা ধরনের রোগে ভুগছেন। মাঝে মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে পাওয়া ১০০ দিনের কাজ করে গুজরান করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: এই প্রথম প্রকাশ্যে হাতে-হাত, চোখে-চোখ! 'যুগল' হয়ে সামনে এলেন হৃত্বিক-সাবা
বড় মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন গ্রামবাসীর সাহায্য নিয়ে। মেজো মেয়ে স্মিতা-সহ তাঁর আরও একটি ছেলের পড়াশোনার খরচও টানতে হয় তাঁকে। দিলীপ বাবুর মেজো মেয়ে স্মিতা বর্তমানে ধূপগুড়ির সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। দিলীপ বাবু, মাস তিনেক আগে জলপাইগুড়ির শান্তিপাড়ার বাসিন্দা বেকারি ব্যবসায়ী কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে তিনি কোনওভাবেই তাঁর মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন না।
আরও পড়ুন: বিছানায় যৌন তৃপ্তির চূড়ায় পৌঁছতে চান? শুধু রান্নাঘরে উঁকি দিলেই হবে!
কোনওভাবে সেই কথা গিয়ে পৌঁছয় বানারহাট ট্রাফিক গার্ডের পুলিশের কাছে। এর পর বানারহাট ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরা উদ্যোগ নিয়ে দিলীপ বাবুকে মেয়ের বিয়েতে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। মেয়ের বিয়েতে আর্থিক ভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি ছাদনাতলায় বসে স্মিতার সম্প্রদান করেন বানারহাট থানার আই সি শান্তনু সরকার। পুলিশের পাশাপাশি এলাকাবাসীও স্মিতার বিয়েতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
রকি চৌধুরী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Banarhat, Bangla News