উত্তর ২৪ পরগনা: কন্যাশ্রী দফতরে ফোন করে নিজের বিয়ে রুখল নাবালিকা। টোল ফ্রি ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে পরিবারের জোর করে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল দশম শ্রেণির ছাত্রী। উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের ঘটনা। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
হাসনাবাদের বরুণ হাট রামেশ্বরপুর পঞ্চায়েতের বছর ১৫ এর দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল পরিবার। তার বাবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন, মা গৃহবধূ। ওই ছাত্রী ছাড়াও তাঁদের আরও দুটো পুত্র সন্তান আছে। মোট পাঁচজনের সংসার। অভাবের সঙ্গেই বেড়ে ওঠা এই নাবালিকা ছাত্রীটির। বাবা রোজগার করতে পারে না। কোনরকমে ভিক্ষে করে সংসার চলে। নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারটি প্রতিবেশী ২৪ এর এক যুবকের সঙ্গে নাবালিকা মেয়ের বিয়ের বন্দোবস্ত করে। শুক্রবার দুপুরে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই কন্যাশ্রী দফতরে ফোন করে ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন: নিজের জন্মদিনকে মনে রাখতে বাড়ি দান করলেন মহিলা!
বরুণাহাট হাই স্কুলের দশম শ্রেণির এই ছাত্রীটি মেধাবী বলেই এলাকায় পরিচিত। পড়াশোনায় কৃতিত্ব দেখা নয় এর আগে বেশ কয়েকবার সে বিশেষ পুরস্কারও পেয়েছে। ফলে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে আঠারো বছর হওয়ার আগে বিয়ে করতে এসে মোটেও রাজি ছিল না। আর তাই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে হাসনাবাদের কন্যাশ্রী দফতরের আধিকারিক প্রণব মুখার্জিকে গোটা বিষয়টি জানায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। হাসনাবাদের বিডিও পুলিশকে নিয়ে সোজা হাজির হন বিয়ে বাড়িতে। তাঁরা পৌঁছেই ওই ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দেন।
এই বিষয়ে ছাত্রীর মা-বাবা ও পাত্রের কাছ থেকে মুচলেকা নেন বিডিও। তিনি বোঝান আগামী বছর ওই ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে সব রকম সুবিধা পাবে। প্রাপ্তবয়স্ক হলে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকাও পাবে। নাবালিকার বিয়ে যে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ সেটাও তাঁরা বোঝান। বিডিওর কথা শুনে ছাত্রীটির পরিবারও তাকে পড়াশোনা চালাতে এবং এক্ষুণি বিয়ে না দিতে সম্মত হয়েছে।
জুলফিকার মোল্লা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Child Marriage