উত্তর ২৪ পরগনা: প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র শ্রীখোলকে বাঁচাতে সুন্দরবনে শোভাযাত্রা। বাংলার নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র শ্রীখোলকে বাঁচাতে এবার উদ্যোগ দেখা গেল সুন্দরবনে। সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সান্ডেলেরবিল পঞ্চায়েতের আমবেড়িয়ায় এক হরিণামের আসরে এই শ্রীখোলের শোভাযাত্রা দেখল মানুষ।
কালের নিয়মে গিটার, ড্রাম, কিবোর্ডের মত বাদ্য ও তারের যন্ত্র নতুন প্রজন্মের মনে দখল করে নিয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজন শ্রীখোলকে বেছে নিয়েছেন তাঁদের মনোরঞ্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে। এই শ্রীখোলকে সঙ্গী করেই একসময় চৈতন্য মহাপ্রভু বাংলার ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেই বাদ্যযন্ত্রকেই বাঁচানোর উদ্যোগ দেখা গেল সুন্দরবনে।
আরও পড়ুন: হোস্টেলে থাকা ছেলেমেয়েদের কষ্ট দূর করতে স্কুল আয়োজন করছে জন্ম মাসের অনুষ্ঠান!
এই শোভাযাত্রায় কয়েকশো শিল্পী শ্রীখোল নিয়ে রাস্তায় হাঁটেন। উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য, শ্রীখোলকে বাংলার সংস্কৃতিতে টিকিয়ে রাখার বার্তা দেওয়া। শতাধিক খোল শিল্পীর সঙ্গে শোভাযাত্রায় অংশ নেন হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডলও। খোল বাজিয়ে সম্প্রীতির বার্তাও ছড়ান তিনি। বলেন, “বাংলার নিজস্ব বাজনা এই শ্রীখোল, সেই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই আমাদের এই উদ্যোগ। একইসঙ্গে শ্রীখোলের মধুর শব্দে কৃষ্ণনামের মাধ্যমে সকল সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করা প্রচেষ্টা করছি।”
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর হরিনাম সংকীর্তন থেকে শ্রীখোল, মৃদঙ্গ বাংলায় বাদ্যযন্ত্রের পরিচিতি পায়। কিন্তু বাদ্যযন্ত্রের দুনিয়াতেও এসছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এছাড়াও ভারতীয় কিছু বাদ্যযন্ত্র ঢোল, তবলা বা হারমোনিয়ামকে অনেকে বাংলার বলে মনে করেন। কিন্তু আদতে তা একেবারেই নয়। বাংলা নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র হল এই শ্রীখোল ও মৃদঙ্গ। অথচ কালের নিয়মে এগুলি হারিয়ে যেতে বসেছে। তাকে বাঁচাতেই এবার সুন্দরবনের মানুষের এই শোভাযাত্রা।
জুলফিকার আলি মোল্লা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।