উত্তর ২৪ পরগনা: বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম আকাশছোঁয়া থাকলেও দামের ঝাঁজ উধাও পেঁয়াজে। এবছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। কিন্তু বাজারে দাম না পাওয়ায় বিশেষ পদ্ধতি নিয়েছেন কৃষকরা। নিজেদের জমিতে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাড়িতেই সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পেঁয়াজ চাষীরা। জেলা মার্কেটিং বিভাগ ও জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতি অবলম্বন করেই তারা ঘরেই কুইন্টাল কুইন্টাল পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রেখেছেন। কৃষকদের দাবি, এই সংরক্ষণ পদ্ধতি অবলম্বন করলে আগামী ছয় মাস পর্যন্ত পেঁয়াজের গুণগত মান একই থাকবে। বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লে সংরক্ষিত পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করে ভালো মুনাফা ঘরে তুলবেন চাষীরা।পেঁয়াজ চাষ থেকে লাভবান হওয়ার আশায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া দু নম্বর ব্লকের মেনা গ্রামেরচাষী ভাইদের ঘরে থরে থরে সাজানো রয়েছে কয়েকশো কুইন্টাল পেঁয়াজ। এই অঞ্চলের পেঁয়াজ চাষীরা জানালেন, মার্চ মাসে শুরু হয় জমি থেকে পেঁয়াজ তোলার কাজ।
পেঁয়াজ তোলার পর যে খরচ হয় সে খরচ বাজার থেকে ওঠে না। কারণ সে সময় বাজারে পেঁয়াজের দাম থাকে অনেক কম। ফলে লাভের পরিমাণ তেমন ভাবে দেখা যায় না। এলাকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য কোনও হিমঘর নেই। ফলে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য এই অঞ্চলের চাষীরা ভরসা করেন দেশীয় পদ্ধতি। তবে এই সংরক্ষন পরবর্তী ছয় মাস পর্যন্ত রাখা যায় বলে জানিয়েছেন চাষীরা।
আরও পড়ুনঃ পথচারীদের ফুটপাত ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ প্রশাসনেরএই সময়ের মধ্যে যখন পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়া যায় তখনই তারা তাদের সংরক্ষিত পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করেন। ফলে লাভের অঙ্ক এর পরিমাণ বেশ ভালোই আসে। পেঁয়াজের গাছ সহ বেশকিছু পেয়াজকে একসঙ্গে বেঁধে ঘরের ঝুলিয়ে রাখার এই সনাতন পদ্ধতিকে সমর্থন জানিয়েছেন কৃষীবিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুনঃ সমস্যা নেই জল সরবরাহে, তবু কেন নলকূপের জলই ভরসা এলাকাবাসীর?
তাদের মত, এই সনাতনবা ঘরোয়া পদ্ধতিতে পেঁয়াজকে সংরক্ষণ করলে এতে কোনো ভাবেই ব্যাকটেরিয়া আঘাত হানতে পারবে না। ফলে বেশ কয়েক মাস নিশ্চিন্তে সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজগুলোকে৷
Rudra Narayan Royনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: North 24 Parganas