Andhra Pradesh Con-woman: ৩০ বছরের পাত্রী সেজে বিয়ে করলেন ৫৪ বছর বয়সী এই মহিলা! লোক ঠকানোর নয়া দস্তুরে তাজ্জব সমাজ

Last Updated:

Andhra Pradesh Con-woman: আধার কার্ডের সাহায্যে পুলিশ তদন্ত করার পরে যে তথ্য বেরিয়ে আসে তাতে হতবাক হয়ে যান মা ও ছেলে।

Saranya married Indrani's son at Tiruvallur in a grand ceremony. (Credits: News18)
Saranya married Indrani's son at Tiruvallur in a grand ceremony. (Credits: News18)
#চেন্নাই: তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর জেলার পুদুপেট্টাই নিবাসী এক ভদ্রমহিলা তাঁর ৩৫ বছরের ডিভোর্সি ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন। ৬৫ বছর বয়সী ইন্দ্রাণী দেবীর পুত্র এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন। ছয় বছর ধরে তিনি তাঁর ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার জন্য সম্বন্ধ খুঁজছিলেন। অবশেষে গত বছর তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি জেলার পুত্তুরের বাসিন্দা সারনিয়া নামে এক মহিলার খোঁজ পান। ঘটকের মাধ্যমেই তাঁদের যোগাযোগ হয় (Viral News)।
ইন্দ্রাণী তাঁর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে দেখতে আসবেন শোনার পর ৫৪ বছর বয়সী সারনিয়া একটি বিউটি পার্লারে যান এবং পার্লারের কর্মীরা তাঁর মুখে এতটাই মেকআপ লাগান যে তাঁকে আর আসল বয়সে চিনতেই পারা যাচ্ছিল না। সারনিয়াকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি বছর তিরিশের কোনও যুবতী। এর পরে মা ও ছেলে সারনিয়াকে দেখে পছন্দও করেন এবং তাঁদের বিয়েও হয়ে যায়। জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের চারহাত এক করে দিয়ে নতুন বউয়ের হাতে ২৫ গ্রাম সোনাও তুলে দেন ইন্দ্রাণী দেবী।
advertisement
advertisement
কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই সংসারে অশান্তি শুরু হয় যখন সারনিয়া স্বামী এবং শাশুড়ির সঙ্গে ঝামেলা শুরু করেন যে তাঁর নামে সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিতে হবে। এমনকী অশান্তি এতটাই চরমে ওঠে যে শাশুড়িকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সারনিয়া। এর পর অশান্তিতে টিকতে না পেরে শেষমেষ রাজি হন সারনিয়ার স্বামী। সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট চাইতে গেলে ছেলে ও মায়ের হাতে আসে সারনিয়ার আধারকার্ড। ওই কার্ডে কেয়ার হোল্ডারের জায়গায়, ‘রবি’ নামটি দেখে সন্দেহ জাগে তাঁদের। এর পরই তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
advertisement
আধার কার্ডের সাহায্যে পুলিশ তদন্ত করার পরে যে তথ্য বেরিয়ে আসে তাতে হতবাক হয়ে যান মা ও ছেলে। পুত্তুর নিবাসী সারনিয়া ওরফে সুকন্যা ওরফে সন্ধ্যা ইতিমধ্যে একই শহরের নিবাসী রবি নামের ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের দুই মেয়েও ছিল, তাঁদের বিয়েও হয়ে গিয়েছে। রবির সঙ্গে বিবাদের পর সারনিয়া তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। আয়ের কোনও উৎস না থাকায় তাঁদের আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়। অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে মা ও মেয়ে দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভেবে বিয়ের ঘটকের কাছে যেতে শুরু করেন। তাঁদের সহায়তাতেই সারনিয়া ডিভোর্সি মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের নিজের শিকার বানিয়েছেন। সারনিয়া ইতিমধ্যেই নিজেকে সন্ধ্যা হিসাবে পরিচয় দিয়ে সুব্রামণি নামে একজনকে বিয়ে করেন এবং প্রায় ১১ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে সংসারও করেন। কোভিডের সময় ওই সংসার ছেড়ে তিনি মায়ের কাছে ফিরে আসেন। এর পর টার্গেট করেন ইন্দ্রাণী দেবীর পুত্রকে। এর আগের স্বামী রবির থেকে সারনিয়া ১০ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন। এখন বর্তমান মামলার তদন্ত চলছে।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Andhra Pradesh Con-woman: ৩০ বছরের পাত্রী সেজে বিয়ে করলেন ৫৪ বছর বয়সী এই মহিলা! লোক ঠকানোর নয়া দস্তুরে তাজ্জব সমাজ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement