#নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সময়মতো স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হল উত্তরপ্রদেশ সরকার। লখিমপুর-কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত। গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়নি কেন ? ৩৪ জন সাক্ষী থাকলেও মাত্র চারজন এর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে কেন? এমন এক গুচ্ছ প্রশ্নে জর্জরিত হতে হয়েছে উত্তরপ্রদেশের আইনজীবী হরিশ সালভেকে।
বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে লখিমপুর খেরি মামলার শুনানি শুরু হতেই বিচারপতিরা রাজ্য সরকারের স্টেটাস রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমরা গতকাল রাত একটা পর্যন্ত আপনাদের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করেছি কিন্তু আমরা হতাশ হয়েছি।' এই সময় রাজ্য সরকারের তরফে হরিশ সালভে আবেদন জানান আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি করা হোক। যদিও তা খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি।
শুনানি চলাকালীন বিচারপতি হিমা কোহলি বলেন, আপনারা পিছপা হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। এই ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আপনাদেরই।এরপর সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্ন,-কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ?
হরিশ সালভে জানান, ওই ঘটনায় দুটি মামলা রুজু হয়েছে প্রথমটি গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা। দ্বিতীয়টি গণপিটুনি দিয়ে হত্যা। এখনো পর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিচারপতিরা জানতে চান, কতজন পুলিশ হেফাজতে, কতজন জেল হেফাজতে রয়েছে ?
আরও পড়ুন-কাল থেকে সুকান্তর জেলাসফর, রথের সারথী সেই দিলীপ ঘোষই! যে প্রশ্ন উঠছে
রাজ্য সরকার জানায় ৬ জন জেল হেফাজতে রয়েছে ৪ জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। প্রশ্ন ছিল যারা জেল হেফাজতে রয়েছে, তাদের কি আর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই? রাজ্য সরকার জানায় প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
এরপর আদালতের প্রশ্ন, পীড়িতদের প্রত্যেকের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে? মোট ৩৪ জন সাক্ষী, তাহলে মাত্র চারজন সাক্ষীর বয়ান কেন রেকর্ড করা হল? রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয় ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭০ টি ভিডিও ফুটেজ সামনে এসেছে। সবগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ অক্টোবর।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রের গাড়ির ধাক্কায় লখিমপুরে চার কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ-সহ গোটা দেশের রাজনীতি। গত ৩ অক্টোবরের ওই ঘটনায় ওই চার কৃষক-সহ মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গাড়ির ধাক্কার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাই কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার। এই পরিস্থিতিতে লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
RAJIB CHAKRABORTY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।