গরতলা: "এতদিন ধরে আমরা রাজ্যে কমিউনিস্টদের শাসন দেখে এসেছি, খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস এইসব দেখে দেখে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। একটি আতঙ্কের পরিবেশ আমরা দেখে এসেছি এতদিন, এই পরিবেশ থেকে এখন আমরা মুক্তি পেয়েছি। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি এবং তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহজি যিনি বর্তমানে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের নেতৃত্বে এই কুশাসন এবং দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছি।" এই অভিমত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: মানিক সাহার।
নিজের বিধানসভা কেন্দ্র টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, "আমাদের সরকার এখানে আসার পর কেন্দ্রের বেনিফিশিয়ারি স্কিম এবং আমাদের বেনিফিশিয়ারি স্কিমগুলো সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। তাই মানুষ এখানে খুবই খুশি। নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ২ মার্চ ফল ঘোষণা হবে। আমি নিশ্চিত রাজ্যে ভারতের জনতা পার্টির সরকার আমাদের প্রতিষ্ঠিত হবে। যেখানে যাচ্ছি সাধারণ মানুষের চেহারাতে তা দেখা যাচ্ছে। মানুষ শান্তি সম্প্রীতি চায়, মানুষ গুন্ডামি চায় না। তা থেকে আমরা এতদিনে মুক্তি পেয়েছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির কারণে।''
আরও পড়ুন: আয়কর ব্যবস্থা সরল হোক, চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী! নতুন কর কাঠামো নিয়ে আশাবাদী নির্মলা
আরও পড়ুন: 'ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সেক্টর 'নিরাপদ'..., SBI-LIC নিয়ে বড় দাবি নির্মলা সীতারমণের!
তিনি আরও বলেন, ''রাজ্যের মানুষ আস্থা রেখেছিল এই কংগ্রেসের উপরে, কিন্তু আমরা কি দেখলাম ত্রিপুরাতে ওদের কুস্তি আর দিল্লিতে ওদের দোস্তি। কিন্তু রোজ রোজ ওরা বলেন ত্রিপুরাতে গণতন্ত্র নেই। এখানে গণতন্ত্র আছে বলে আজ তোমাদের প্রেম দেখা যাচ্ছে। একজন আরও একজনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছো। গণতন্ত্র আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আগে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করেছে আর এখন সবাইকে দেখিয়ে প্রেম করছো, এটা সম্ভব হয়েছে বিজেপি সরকার সবাইকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে বলে। পশ্চিমবঙ্গে আমরা দেখেছি সেখানে তৃণমূলের পতাকা ছাড়া আর কোন পতাকা উড়ে না। সারা ত্রিপুরাতে বিজেপির পতাকা, কমিউনিস্টদের পতাকা, কংগ্রেসের পতাকা এবং তৃণমূলের পতাকা পতপত করে উঠছে। তারপরও তারা বলছে এখানে গণতন্ত্র নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অনেক অনেক ভাল হয়েছে।
তাঁর মতে, ''যারা এখনও কংগ্রেসের পেছনে রয়েছে তাদের আমি প্রশ্ন করব কোন মুখ নিয়ে আপনারা সাধারণ মানুষের কাছে যাবেন। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কি উত্তর দেবেন বিরোধী দলের যারা শহিদ হয়েছিল। কয়েকজনের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে কংগ্রেস মাত্র ১৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারা জোট করতে থাকবে এর মধ্যে নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে এবং আমরা বিজয় রথ নিয়ে বের হব। তাদের কী করুণ অবস্থা, কংগ্রেস ভবনে এখন স্থান নেই, সিপিএমের অফিসে যেতে হচ্ছে।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tripura Election