হোম /খবর /দেশ /
হু হু করে বাড়ছে ঋষি গঙ্গার জলস্তর, যোশীমঠে ব্যাহত উদ্ধার কাজ, সতর্কতা জারি

হু হু করে বাড়ছে ঋষি গঙ্গার জলস্তর, যোশীমঠে ব্যাহত উদ্ধার কাজ, সতর্কতা জারি

ঋষি গঙ্গার জলস্তর বাড়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ উত্তরাখণ্ডের চামোলির জেলার তপোবন টানেলের উদ্ধার কাজ। সতর্কতা জারি করা হয়েছে চামোলি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

  • Last Updated :
  • Share this:

#দেরাদুন: হু হু করে বাড়ছে ঋষি গঙ্গার জলস্তর। ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ উত্তরাখণ্ডের চামোলির জেলার তপোবন টানেলের উদ্ধার কাজ। সতর্কতা জারি করা হয়েছে চামোলি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার দুপুরের পড় থেকে আচমকাই বাড়তে শুরু করে  ঋষি গঙ্গা নদীর জল। ফলে তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় উদ্ধার প্রক্রিয়া। যদিও ফের আংশিকভাবে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। এ দিন নদীর জলস্তর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চামোলি পুলিশ উদ্ধারকারীদের সতর্ক করে তাঁদের নিচু এলাকা থেকে ওপরের দিকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে নিচু এলাকায় বসবাসকারীদেরও সতর্ক করা হয়। তবে যাতে কোনওভাবেই  তাঁরা আতঙ্কিত না হন, তাও বারে বারে বোঝানো হয়।

এ দিকে, উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের তরফে পাওয়া শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫। নিখোঁজের সংখ্যা বেড়ে ২০৪। ফলে মৃতের সংখ্যা যে আরও অনেকটা বাড়তে, তা অনেকটাই স্পষ্ট পরিসংখ্যান থেকে। সেনা, ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানা গিয়েছে, জওয়ানরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। তপোবন সুরঙ্গের একটা অংশ কেটে রাস্তা ত্রই করতে পেরেছেন তাঁরা। তবে সেই রাস্তা উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়। ফলে আরও সময় লাগবে রাস্তা বানাতে। উল্লেখ্য, ওই সুরঙ্গের মধ্যে ৩৫জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তাঁরা এখন কী আবস্থায় আছেন, তা অজানা। তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রাণহানির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন।

 ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকারী দল ড্রিলিং অপারেশন শুরু করেছে। সুরঙ্গের ১২-১৩ মিটার নীচ দিয়ে উদ্ধার প্রক্রিয়া চালানোর জন্য রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ১৫০০ মিটারের লম্বা সুরঙ্গই উদ্ধারকারীদের নজরে।

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Rescue Operation, Uttarakhand