Wind and solar energy production: কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা মিটিয়েছে বায়ু ও সৌরশক্তি
- Published by:Madhurima Dutta
- news18 bangla
Last Updated:
Solar Energy increased in India: ২০২১ সালে কোভিড-১৯ মহামারী থেকে বিশ্বের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোয় শক্তির চাহিদা (Energy Production in India) বেড়েছে, বিদ্যুতের চাহিদা রেকর্ড গতিতে বেড়েছে।
#নয়াদিল্লি: বিশ্বে এই প্রথম মোট বিদ্যুতের চাহিদার ১০% মিটিয়েছে বায়ু এবং সৌরশক্তি (Wind and solar energy production)। এক নয়া বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে ২০২১ সালে ৫০ টি দেশ তাদের শক্তির এক দশমাংশেরও বেশি পেয়েছে বায়ু এবং সৌর উত্স (Wind and solar energy production) থেকেই। জলবায়ু এবং শক্তি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এমবারের গবেষণা অনুসারে, ২০২১ সালে কোভিড-১৯ মহামারী থেকে বিশ্বের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোয় শক্তির চাহিদা (Energy Production in India) বেড়েছে, বিদ্যুতের চাহিদা রেকর্ড গতিতে বেড়েছে। ১৯৮৫ সালের পর থেকে এই প্রথম তাপবিদ্যুতের চাহিদা দ্রুততম হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সৌর এবং বায়ু (Wind and solar energy production)এবং শক্তির অন্যান্য পরিষ্কার উত্সগুলি ২০২১ সালে বিশ্বের ৩৮% বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছে৷ এই প্রথমবার বায়ু টারবাইন এবং সৌর প্যানেল মোট শক্তির ১০% উত্পন্ন করেছে৷ ২০১৫ সালে যখন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তখন থেকে বায়ু এবং সূর্য থেকে আসা শক্তির অংশ দ্বিগুণ হয়েছে। নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া এবং ভিয়েতনামে বায়ু এবং সৌরশক্তিতে দ্রুততম পরিবর্তন ঘটেছে। জীবাশ্ম জ্বালানি নয় বরং পরিবেশবান্ধব উৎস (Wind and solar energy production) থেকেই তিনটি দেশ গত দুই বছরে তাদের বিদ্যুতের চাহিদার দশ ভাগ মিটিয়েছে।
advertisement
advertisement
এমবারের হানা ব্রডবেন্ট বলেন, “উত্তর গোলার্ধের দেশ হিসেবে নেদারল্যান্ডস দুর্দান্ত উদাহরণ। এটি প্রমাণ করেছে যে যেখানে সূর্যের আলো প্রখর কেবল সেখানেই নয়, সঠিক নীতি থাকলে সবখানেই সৌরশক্তির উৎপাদন বাড়তে পারে।” “ভিয়েতনামের ক্ষেত্রে, সৌরশক্তি উৎপাদনে ব্যাপক পদক্ষেপ করা হয়েছিল। সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অর্থ প্রদান করেছে। যার ফলে পরিবারের জন্য সৌরশক্তি উৎপন্ন করার বিষয়টি খুব আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। গত বছর সৌরশক্তি উত্পাদন একটি বিশাল পদক্ষেপ ছিল, এটি কেবলমাত্র বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদাই মেটায়নি, কয়লা এবং গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উত্পাদনের নির্ভরশীলতাকেও কমিয়েছে”, বলেন এমবারের ডেভ জোনাস।
advertisement
অন্য শক্তি (Wind and solar energy production) উৎসের বৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বেও এবং ডেনমার্কের মতো কিছু দেশ তাদের ৫০% এর বেশি বিদ্যুত বায়ু এবং সৌরশক্তি থেকে মিটিয়ে নিলেও, ২০২১ সালে কয়লা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের চাহিদাও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
advertisement
২০২১ সালে বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদার সিংহভাগই জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়েই পূরণ করা হয়েছে এবং কয়লাজাত বিদ্যুতের পরিমাণ ৯% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ১৯৮৫ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। ডেভ জোনস বলেন, “গত বছর কিছু জায়গাতে গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে, এমনকী কয়লাও গ্যাসের চেয়ে সস্তা হয়ে গেছে। ইউরোপ জুড়ে এবং এশিয়ার বেশিরভাগ অংশে গ্যাসের দাম গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ১০ গুণ বেশি, যেখানে কয়লার ব্যয় মাত্র তিনগুণ বেশি।”
Location :
First Published :
March 30, 2022 9:22 PM IST