Parliament Security Breach: ‘ভগৎ সিং’-এর ভক্ত! পেশায় বেকার...এবার সামনে পার্লামেন্ট কাণ্ডের ৬ চক্রীর যোগসূত্র

Last Updated:

যদিও, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য, এই নীলমকে ‘আন্দোলনজীবী’ বলে কটাক্ষ করেছেন তাঁর নিজের পোস্টে৷ নীলমকে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমর্থক হিসাবেও দাবি করেছেন তিনি

নয়াদিল্লি: ব্রিটিশ শাসকদের কানে নিজেদের কথা তুলে দিতে এক অভিনব পদ্ধতি নিয়েছিলেন ভগৎ সিং-সহ তাঁর সহযোগী যোদ্ধারা৷ বঙ্গের বটুকেশ্বর দত্ত তৈরি করেছিলেন এমন এক বোমা, যা দিয়ে বিস্ফোরণে ধামাকা তো হত, কিন্তু, প্রাণহানির শঙ্কা ছিল না ছিঁটেফোঁটাও৷ তারপর, ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল, সংসদে অধিবেশন চলাকালীন দর্শকের আসন থেকে পর পর দু’টি বোমা৷ বোমা ছুঁড়েছিলেন ভগৎ সিং এবং তাঁর সঙ্গী বটুকেশ্বর দত্ত৷ সঙ্গে স্লোগান ‘ইনক্লাব জিন্দাবাদ’৷ সেদিন লিফলেটের অসংখ্য পাতা উড়েছিল হাওয়ায়৷ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছিলেন দু’জনে৷
কিন্তু, হঠাৎ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই ইতিহাসের কাছে কেন ফিরে যেতে হল আজ? কারণ, পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন হলুদ ধোঁয়া উড়িয়ে, সাংসদদের বেঞ্চের উপরে ঝাঁপ দিয়ে হুলস্থূল কাণ্ড বাঁধিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন যে ৪ জন, তাঁরা প্রত্যেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার ‘ভগৎ সিং ফ্যানক্লাবের’ সদস্য৷
এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ‘ভগৎ সিং’-এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই নীলমরা স্থির করেছিলেন, নিজেদের দাবিদাওয়া, মতামত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে ভগৎ সিং-এর পদ্ধতি-ই অবলম্বন করবেন তাঁরা৷ ঠিক যেভাবে, সংসদে বোমা ফেলে, প্রায় স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হয়ে আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেদের কথা জানাতে চেয়েছিলেন ভগৎ সিং এবং বটুকেশ্বর দত্তেরা, ঠিক সেই ভাবে৷ এদিন, নীলমদের হলুদ রঙ বেছে নেওয়ার পিছনেও সেই ভগৎ সিং-ই রয়েছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ৷ কারণ, ‘কেশরী’ স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং-এর প্রিয় রঙ হিসাবে কথিত৷
advertisement
advertisement
‘সংসদ হামলার’ ২২তম বর্ষপূর্তির দিন ১৩ ডিসেম্বর, সংসদের ভিতরে এবং বাইরে যে চার জন হলুদ ও লাল ধোঁয়া ছড়িয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁদের প্রত্যেককেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তাঁদের সঙ্গে আরও ২ জন জড়িত রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে৷ পরে ধরা পড়ে আরও এক৷ সংসদের ভিতর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন সাগর শর্মা এবং ৩৫ বছরের ডি মনোরঞ্জন৷ সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভরত অবস্থায় গ্রেফতার হয়েছেন বছর ৪২-এর নীলম সিং ওরফে নীলম আজাদ এবং ২৫ বছরের তরুণ অমল শিণ্ডে৷ বাকি দুই অধরা অভিযুক্তের নাম বিক্রম এবং ললিত৷
advertisement
আরও পড়ুন: পার্লামেন্টে ‘স্মোক অ্যাটাক’! গুরুগ্রামে গভীর রাতে বৈঠক, কী ভাবে তৈরি হয়েছিল ব্লু প্রিন্ট?
নীলম হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা। অমল মহারাষ্ট্রের লাতুরের। সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি কর্ণাটকের৷ তবে দু’জনে আলাদা শহরের থাকেন। বিক্রমের বাড়ি গুরুগ্রামে৷ সূত্রের খবর, এদিনের ঘটনার আগে বিক্রমের গুরুগ্রামের বাড়িতেই ছিলেন এই ৬ জন৷ সেখানেই এই গোটা ঘটনার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়৷ পুলিশ জানাচ্ছে, এই ৬ জনই সোশ্যাল মিডিয়া গ্র্রুপ ‘ভগৎ সিং ফ্যানক্লাবের সদস্য’৷ গত ৪ বছর ধরে এঁদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে৷ গত ৩ মাস ধরে এঁরা এই পার্লামেন্টে ‘স্মোক অ্যাটাকে’র পরিকল্পনা করছিল৷ এমনকি, বুধবারের ঘটনার আগেও পার্লামেন্টে রেকি করে গিয়েছিল তারা৷
advertisement
জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে থাকা নীলম সিং ওরফে নীলম আজাদ নামের ওই মহিলা অত্যন্ত উচ্চ শিক্ষিত৷ তাঁর এমএ, বিএড, এমফিল ডিগ্রি রয়েছে৷ নেট-ও পাশ করা৷ তা সত্ত্বেও ৪২ বছরে দাঁড়িয়েও তিনি বেকার৷ কর্মহীন তরুণী৷ এর আগে কৃষক আন্দোলনে, কুস্তিগীরদের বিক্ষোভস্থলেও যোগ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে৷ তেমনটাই দাবি পুলিশের৷ শুধু তাই নয়, নীলমের পরিবারের সদস্যেরা জানাচ্ছেন, সে ভগৎ সিং এবং বি আর অম্বেদকরের অনুরাগী৷ মাঝেমধ্যেই ছোটদের মধ্যে ভগৎ সিংয়ের বই বিতরণ করতেও দেখা যায় তাঁকে৷
advertisement
আরও পড়ুন: জঙ্গি কার্যকলাপ নয়…পার্লামেন্টে কেন এই কাণ্ড ঘটাল ওই চারটে ছেলেমেয়ে? কারণটা কিন্তু খুব চেনা
পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে এই বিষয়ের যোগ থাকতে পারে৷ কিন্তু, ধৃতদের অনেকের মোবাইল ফোন উদ্ধার না হওয়ায় অনেক কিছুই অজানা থেকে গিয়েছে৷
যদিও, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য, এই নীলমকে ‘আন্দোলনজীবী’ বলে কটাক্ষ করেছেন তাঁর নিজের পোস্টে৷ নীলমকে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমর্থক হিসাবেও দাবি করেছেন তিনি৷
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Parliament Security Breach: ‘ভগৎ সিং’-এর ভক্ত! পেশায় বেকার...এবার সামনে পার্লামেন্ট কাণ্ডের ৬ চক্রীর যোগসূত্র
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement