#নয়াদিল্লি :বিরোধীদের হই-হট্টগোলের জেরে দিনের পর দিন ভেস্তে যাচ্ছে সংসদের দুই কক্ষ। এমতাবস্থায় সূত্রের খবর, এক সপ্তাহ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাদল অধিবেশনের মেয়াদ। আগামী শুক্রবারই এই ঘোষণা হতে পারে।
সংসদ সূত্রের খবর, কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেস ডিএমকে এবং বাম দলগুলো সহ বিরোধীরা যেভাবে পেগাসাস পেট্রোপণ্য এবং কৃষি আইন ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরেছে তাতে বাদল অধিবেশন ১৩ই আগস্ট পর্যন্ত কিছুতেই চালাতে নারাজ সরকার।
গত ১৯ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত হওয়ার কথা বাদল অধিবেশন। কিন্তু, বিরোধীদের হই হট্টগোলের জেরে সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম কার্যত থমকে রয়েছে। জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন এবং বিরোধীদের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন।
এসব সত্ত্বেও গত কয়েকদিনে সংসদে একের পর এক বিল পাস করানো হয়েছে ঝড়ের গতিতে। বিরোধীদের আপত্তি শোনা হয়নি। বিল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। বিল পাশের সময় ডিভিশন দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের হিসেব অনুযায়ী, "মাত্র ৮৪ মিনিটে ১২ টি বিল পাশ করিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ প্রতি বিলের জন্য ব্যয় করা হয়েছে মাত্র ৭ মিনিট।" এর পরেই তিনি সংসদে বিল পাস হওয়ার প্রক্রিয়াকে পাপড়ি চার্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন যা নিয়ে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। ডেরেকের নিন্দায় মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী থেকে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীরা। তারপর পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধী শিবির কোমর বেঁধে নেমেছেন। একদিকে বিরোধীরা বিরোধিতা করে চলেছেন অন্য দিকে সরকার মন দিয়েছে জোরজবরদস্তি করে বিল পাশ করিয়ে নেওয়ার।
এদিন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, "সংসদে আর কোনও কাজ বাকি নেই। সরকারের আনা বিল গুলিও পাশ হয়ে গিয়েছে। এখন সভা মাঝখানে মুলতুবি করে দিয়ে অধিবেশন স্থগিত করে দিতেও কোনও আপত্তি নেই।"এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, "খুব শীঘ্রই সংসদ অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হতে পারে। তার কারণ সরকারের সব উদ্দেশ্য সফল হয়ে গিয়েছে। তবে অধিবেশন স্থগিত করা হলেও বাদল অধিবেশনের মেয়াদ কমানোর দায় নিতে হবে বিরোধীদেরই।
RAJIB CHAKRABORTY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।