বারাবাঙ্কি: সাড়ে পাঁচ হাজার বছর সময়টা শুনতে খুব কম মনে হয় না? কিন্তু ভাবলে বোঝা যায় কত প্রজন্মের পর প্রজন্ম কালের খেয়ালে মিশে গিয়েছে এই সময়কালেই। বারাবাঙ্কি তেমনই এক সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকা ইতিহাসের এই মূর্ত রূপ। এত বছর পেরিয়ে গেলেও পৃথিবীর কোথাও যদি মহাভারত কালের জীবন্ত সাক্ষী আজও থেকে থাকে, তবে তা একমাত্র উত্তরপ্রদেশের বারাবাঙ্কি জেলাতেই।
মহাভারত যুগের অনেক পৌরাণিক জিনিস বারাবাঙ্কিতে বিদ্যমান যা এভাবেই কালের সাক্ষী বহন করে চলেছে আজীবন। অন্যদিকে, ফতেপুরে অবস্থিত শমী গাছটিরও নিজস্ব একটি আলাদা আধ্যাত্মিক ইতিহাস রয়েছে। শোনা যায়, এই গাছটি পৌরাণিক মহাভারত যুগের। পুরাণ অনুযায়ী এই গাছটি পাণ্ডবরাই রোপণ করেছিলেন, যা এখনও আমাদের মহাভারতের কথা মনে করিয়ে দেয়।
বারাবাঙ্কি জেলার তহসিল ফতেহপুরের শ্রী শক্তিধাম মহাদেব মন্দিরে লাগানো শমী গাছটি ৫০০০ বছরের পুরনো বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, নির্বাসনে থাকাকালীন পাণ্ডবরা তাদের সমস্ত অস্ত্র এই গাছেই লুকিয়ে রেখেছিলেন। তাই এই গাছটিকে আশ্চর্য শক্তির প্রতীকও মনে করা হয়। প্রতি শনিবার এই গাছের পুজো করা হয় আজও। বিজয়াদশমীর দিন দেশের আনাচ কানাচ থেকে মানুষ এখানে পূজা-অর্চনা, যজ্ঞ করতে উপস্থিত হন প্রতি বছর।
আরও পড়ুন: ঘড়িতে ঘণ্টার কাঁটা ছোট আর Minute-এর কাঁটা বড় কেন হয়? কারণটা কিন্তু দুর্দান্ত! আপনি জানেন তো?মনে করা হয় পান্ডবদের সাথে সম্পর্কিত এই শমী গাছটি:মনে করা হয়, পাঁচ হাজার বছর আগে পাণ্ডবরা নৈমিষ হয়ে ভাগৌলি তীর্থে যাওয়ার সময় মহাদেব পুকুরের কাছে এই শমী গাছে তাঁদের যাবতীয় অস্ত্র সস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন পাণ্ডবরা। মন্দির প্রশাসন এই ঐতিহাসিক মাহাত্ম্যকে মাথায় রেখেই এই গাছের বিশেষ যত্ন নেয়। শমী গাছের পাশাপাশি এখানে শনি দেবের সঙ্গে ভগবান শিবের মন্দিরও রয়েছে। পুণ্যার্থী মানুষ স্নান করে শনি গাছের সঙ্গে শনিদেব ও ভগবান শিবের পূজা করে।
প্রাচীন এই মন্দিরের পুরোহিতের কথায়, এটি সেই শমী গাছ, যে গাছে পাণ্ডবরা তাঁদের বনবাস শেষ করতে সব অস্ত্র ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। এখান থেকেই যাত্রা করে পাণ্ডবরা একসময় কুন্তেশ্বর ধামে যান। শুধু তাই নয়, এটিই দেশের প্রথম গাছ যেখানে বিজয়া দশমীর দিন গাছের নীচে অস্ত্র পুজো করা হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।