#ওড়িশা: কিছু কিছু এলাকায় সাংবাদিকদের স্কুলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করল ওড়িশা সরকার! সম্প্রতি পড়ুয়ারা অঙ্কে কতটা দুর্বল, এই খবর কিছু সংবাদ চ্যানেলে দেখানোর পরেই চরম রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। যদিও এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রের সংঘাত বেঁধেছে। এই সিদ্ধান্তকে আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমকে জনসাধারণের কোনও প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করা থেকে আটকানো যাবে না।
ঢেঙ্কানল জেলা শিক্ষা আধিকারিক (ডিইও) শনিবার ব্লক শিক্ষা আধিকারিকদের এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের স্কুল এবং শ্রেণিকক্ষে সাংবাদিকদের অননুমোদিত প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার এবং এই ধরনের বিষয়গুলি পুলিশে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রপাড়া জেলাতেও একই ধরনের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। কিছু সংবাদ চ্যানেলে পড়ুয়ারা অঙ্ক কেমন শিখেছে তা দেখানোর পরেই সরকারের এই পদক্ষেপ। সরকারি এক সূত্র জানিয়েছে, খবরে দেখা যায় পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ারা সাধারণ নামতা অবধি বলতে পারছে না।
আরও পড়ুন- বিজেপির চাপে নত, তবু এনডিএ'র দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করবে উদ্ধবের শিবসেনা!
“স্কুল চত্বরে মিডিয়ার প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা অনুচিত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্কুল একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। পড়াশোনার প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করা উচিত নয়, তবে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের ক্যাম্পাসে প্রবেশকে অস্বীকার করা যাবে না,” বলেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। রাজ্যের স্কুল এবং গণশিক্ষা সচিব বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গী জানান, এই নির্দেশে তিনি বিস্মিত।
“এটি দুর্ভাগ্যজনক এবং অবিলম্বে আদেশ প্রত্যাহার করা উচিত,” বলেন অপরাজিতা। কংগ্রেসের প্রবীণ বিধায়ক সুরেশ রাউত্রে জানান, সাংবাদিকদের উপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা এই প্রথম নয়। “COVID-19-এর বাহানায় সাংবাদিকরা এখনও বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারেননি। সাংবাদিকদের দুই বছর ধরে রাজ্য সচিবালয়ে এবং কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে,” বলেন তিনি।
আরও পড়ুন- "উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ বলে কিছু নেই, এটা বঙ্গ": বিরোধীদের কড়া বার্তা অভিষেকের!
সরকারের সমর্থনে স্কুল ও গণশিক্ষামন্ত্রী এস আর দাশ জানান, সংবাদপত্রের ভুল তুলে ধরার অধিকার রয়েছে, কিন্তু কিছু ওয়েব পোর্টালের সাংবাদিকরা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ঢুকে স্কুলের পরিবেশকে বিঘ্নিত করছেন। রাজ্যের বিভিন্ন সাংবাদিক সমিতিও এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে, নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Education Minister, Odisha, School