শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সোশ্যাল মিডিয়া ‘X’-এ লেখেন, ‘‘এই মুহূর্তে ভারতের ঐক্যবদ্ধ থাকাটা খুব জরুরি৷ সাত সদস্যের একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল খুব শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ দেশে যাবেন৷ ভারত সরকারের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির কথা তাঁরা পৌঁছে দেবেন দেশে দেশে৷ বিভাজনের ঊর্ধ্বে, রাজনীতির উর্ধ্বে এই একতা একটা জোরাল বার্তা৷’’
নয়াদিল্লি: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে তাঁর বক্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে শশী থারুরকে৷ এমনকি, দলের অন্দরেই নানা সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে৷ সেই শশী থারুরই কি না বিশেষ দায়িত্ব পেলেন মোদি সরকারের কাছ থেকে৷ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বার্তাবহ হয়ে ৭ সদস্যের একটি দল পৌঁছবে বিশ্বের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশে৷ সেই দলেরই প্রধান হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হল শশী থারুরকে৷
পহেলগাঁওয়ে ঠিক কী ঘটেছিল? এর পিছনে পাকিস্তানি মদতের অকাট্য সব প্রমাণ? কী কারণে ভারত এই ভাবে পাকিস্তান বিরোধী পদক্ষেপ করল, এ সমস্তই বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক কমিটির কাছে পৌঁছে দিতে চায় ভারত সরকার৷ সেই কারণেই তৈরি করা হয়েছে ৭ সাংসদের ৭টি বিশেষ দল৷
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সোশ্যাল মিডিয়া ‘X’-এ লেখেন, ‘‘এই মুহূর্তে ভারতের ঐক্যবদ্ধ থাকাটা খুব জরুরি৷ সাত সদস্যের একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল খুব শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ দেশে যাবেন৷ ভারত সরকারের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির কথা তাঁরা পৌঁছে দেবেন দেশে দেশে৷ বিভাজনের ঊর্ধ্বে, রাজনীতির উর্ধ্বে এই একতা একটা জোরাল বার্তা৷’’
advertisement
In moments that matter most, Bharat stands united.
Seven All-Party Delegations will soon visit key partner nations, carrying our shared message of zero-tolerance to terrorism.
A powerful reflection of national unity above politics, beyond differences.@rsprasad@ShashiTharoor… pic.twitter.com/FerHHACaVK
শশী থারুরের দলে থাকছেন এলজেপি-রামবিলাসের শাম্বভী চৌধুরী, ড. সরফরাজ আহমেদ (জেএমএম), গান্তি হরিশ মধুর বালাযোগী (টিডিপি), শশাঙ্ক মণি ত্রিপাঠী (বিজেপি), ভুবনেশ্বর কালিতা (বিজেপি) এবং মিলিন্দ দেওরা (শিবসেনা)৷ দলে থাকবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের প্রাক্তন অ্যাম্বাসেডর তারাণজিৎ সিং সান্ধু৷
I am honoured by the invitation of the government of India to lead an all-party delegation to five key capitals, to present our nation’s point of view on recent events.
When national interest is involved, and my services are required, I will not be found wanting.
থারুর লেখেন, ‘পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রাজধানীতে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব করার এই আমন্ত্রণ পেয়ে আমি সম্মানীত৷ ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি পৌঁছে দেওয়া এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব৷ যখন দেশের স্বার্থ জড়িত, তখন আমি সবসময় থাকব৷’