#নয়াদিল্লি:দু-পক্ষই দাবি করছে, সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় সংখ্যা আছে। কিন্তু আস্থাভোট কবে? ৩০ নভেম্বরের আগেই কী? শনিবার সাতসকালে যে ভাবে তড়িঘড়ি দেবেন্দ্র ফডণবীসকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়, তা কি সাংবিধানিক ভাবে বৈধ? আজ রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।মহারাষ্ট্র নিয়ে শুনানি পর্ব শেষ। ৩ বিচারপতির বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি এনভি রমন যুযুধান সবপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা একদিন সময় নিচ্ছি। আপনারা আরও কিছুটা উৎকণ্ঠায় থাকুন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ বিষয়ে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।মামলায় পার্টি-দেবেন্দ্র ফড়নবিশের হয়ে সওয়াল মুকুল রোহাতগির-কেন্দ্রের হয়ে বক্তব্য পেশ করেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা
-শিবসেনা ও এনসিপির হয়ে সওয়াল অভিষেক মনু সিংভি ও কপিল সিব্বলেরসওয়ালের শুরুতেই ১৭০ জন বিধায়কের সই করা চিঠি আদালতে জমা দেন ফড়নবিশের আইনজীবী। দাবি করেন, ১৭০ বিধায়কের সমর্থন বিজেপির পক্ষে।২২ নভেম্বর এই চিঠি দেওয়া হয়। ৫৪ জন এনসিপি বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থনের অঙ্গীকার করে চিঠি দেন।এই চিঠির ভিত্তিতেই রাজ্যপাল সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলেও সওয়াল করা হয়। যা নিয়ে জোরালো কোনও বক্তব্য পেশ করতে পারেনি বিজেপি বিরোধীরা।সুপ্রিম কোর্টে জোটের যে রিট পিটিশন নিয়ে শুনানি হচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিজেপির আইনজীবী মুকুল রোহতগি। তাঁর প্রশ্ন, ৩০ নভেম্বর আস্থাভোটের দিন ধার্য করেছেন রাজ্যপাল। সে নির্দেশ নিয়ে আদালত কেন হস্তক্ষেপ করবে ?সেইব যুক্তি খণ্ডন করে শিবসেনা ও কংগ্রেস-এনসিপি জোটের তরফে আইনজীবী যথাক্রমে কপিল সিব্বল ও অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির প্রশ্ন, কোন যুক্তিতে সাতসকালে তড়িঘড়ি সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল? এটা কোন জরুরি অবস্থা? কী এমন তাড়া ছিল ?আদালতের নজরদারিতে আস্থাভোটের প্রস্তাবও দেন সিব্বল ও সিংভি। তবে তা খারিজ করে দেয় আদালত।আস্থা ভোট কবে? রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত কী বেআইনি? যেভাবে শপথগ্রহণ করানো হয়, তাতে কি সংবিধান অবমাননা হয়েছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে মঙ্গলবার।
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।