উৎসবের মরশুমে ঘরের টান উপেক্ষা করা যায় না, দেশে ফেরার বিমানযাত্রায় জারি নয়া নিয়ম

Last Updated:

বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের এ-দেশে আসার আগের এবং পরের নিয়ম, নির্দেশিকার ক্ষেত্রে কিছু বদল আনা হয়েছে (Govt. Guidelines Updated)।

#নয়াদিল্লি: প্রায় দুই বছর পর অনেকটাই স্তিমিত হয়েছে কোভিড অতিমারির দাপট। যার জেরে প্রতিটি দেশই শিথিল করেছে বিধিনিষেধের গেরো। ধীরে ধীরে সব কিছু স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের নিয়মও শিথিল হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ খুলে দিয়েছে নিজেদের সীমান্ত। পিছিয়ে নেই ভারতও। অর্থাৎ কোনও দেশে ভ্রমণ কিংবা অন্য দেশ থেকে ভারতে আসার ক্ষেত্রে আর সেই আগের নিষেধাজ্ঞাও থাকছে না। ফলে উত্তরোত্তর বাড়ছে বিদেশ থেকে যাত্রীদের আনাগোনা (International Travel)।
আবার এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা অতিমারির কারণে প্রায় ২-৩ বছর দেশে ফিরতে পারেননি। কিন্তু সামনেই যে উৎসবের মরশুম! আর এই সময়টাতে সকলেরই বোধহয় ঘরে ফেরার জন্য মন কেমন করে! ফলে চলতি বছরে বহু মানুষই বিদেশ থেকে ভারতে আসবেন। কার্যত চাপ বাড়বে বিমানবন্দরগুলিতে। এর জন্যই এখন তৎপর ভারত সরকারও। আসলে কোভিডের দাপট না থাকলেও এখনও তা পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। সেই কারণেই বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের এ-দেশে আসার আগের এবং পরের নিয়ম, নির্দেশিকার ক্ষেত্রে কিছু বদল আনা হয়েছে (Govt. Guidelines Updated)।
advertisement
দিন কয়েক আগে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এই নিয়মে সংশোধন এনেছেন। তাই বিদেশ থেকে এসে দেশের বিমানবন্দরে নেমে যাতে যাত্রীদের কোনও অসুবিধার মুখে পড়তে না-হয়, তার জন্য দেখে নেওয়া যাক সরকারের এই সংক্রান্ত নতুন নিয়মাবলী (Latest Travel Guidelines)।
advertisement
ভ্রমণের আগে মাথায় রাখতে হবে এই বিষয়গুলি:
সমস্ত ভ্রমণার্থীদের হাতের কাছে রাখতে হবে নিম্নোক্ত নথিপত্র এবং টেস্ট রিপোর্ট:
advertisement
ভারতে আসার আগে স্ব-ঘোষণার মাধ্যমে বিগত ১৪ দিনের ঘোরাঘুরি সংক্রান্ত তথ্য-সহ সব রকম প্রকৃত তথ্য সম্বলিত ফর্ম অনলাইনে এয়ার সুবিধা পোর্টালে (https://www.newdelhiairport.in/airsuvidha/apho-registration) জমা করতে হবে।
কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট (সফর শুরু করার ঠিক ৭২ ঘণ্টা আগে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে) এবং কোভিড ভ্যাকসিনেশনের সমস্ত তথ্য জমা করতে হবে।
advertisement
নিজের বিষয়ে যে তথ্য জমা দেওয়া হচ্ছে, তা সত্য বা প্রকৃত কি না, সেই বিষয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে ডিক্লারেশন দিতে হবে। যদি যাত্রীর দেওয়া তথ্য সত্য না-হয়, তা-হলে তাঁকে অপরাধমূলক কাজের জন্য অভিযুক্ত করা হবে।
সফরের আগে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার মাধ্যমে ওই পোর্টাল কিংবা অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে যাত্রীদের একটা অঙ্গীকারও দিতে হবে। আসলে যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছনোর পর সেখানে সরকারের দ্বারা জারি করা নিয়ম এবং সিদ্ধান্ত মানবেন, এই বিষয়টারই সম্মতি থাকবে অঙ্গীকারে।
advertisement
বিমানে ওঠার আগে মেনে চলতে হবে এই নিয়মগুলি:
ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাগুলিকে ভ্রমণার্থীদের টিকিটের সঙ্গে কোনটা করণীয় এবং কোনটা করণীয় নয়, তার একটা লম্বা তালিকা দিতে হবে।
যে-সব যাত্রী নেগেটিভ আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট-সহ ঠিক-ঠিক তথ্য দিয়ে গোটা সেলফ ডিক্লারেশন ফর্ম পূরণ করে এয়ার সুবিধা পোর্টালে জমা দেবেন, তাঁদেরকেই বিমানে চড়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
advertisement
বিমানে চড়ার আগে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে চিহ্নিত করা উপসর্গহীন বা অ্যাসিম্পটোমেটিক রোগীদেরই শুধুমাত্র বিমানে চড়ার অনুমতি দিতে হবে।
সমস্ত যাত্রীকেই নিজেদের মোবাইল ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
গন্তব্যে পৌঁছনোর পরে এই সব নিয়ম মেনে চলতে হবে:
ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং নিশ্চিত করতে ডি-বোর্ডিং করা উচিত।
advertisement
বিমানবন্দরে উপস্থিত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের আন্তর্জাতিক বিমানে আগত প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। আর বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে নিজেদের ডিক্লারেশন ফর্মও দেখাতে হবে যাত্রীদের।
স্ক্রিনিংয়ের সময়ে যদি দেখা যায়, কোনও যাত্রীর দেহে উপসর্গ রয়েছে, তা-হলে তাঁকে হেলথ প্রোটোকল মেনে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে পাঠানো এবং চিকিৎসা করানো হবে। যদি টেস্টে যাত্রীর পজিটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ে, তা-হলে তাঁর সংস্পর্শে আসা মানুষদেরও সনাক্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গন্তব্যের পৌঁছনোর পরে এই প্রোটোকল মেনে চলতে হবে:
বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরে একটি সাবসেকশন (বিমানে উপস্থিত সমস্ত যাত্রীদের ২ শতাংশ)-কে টেস্টিং করাতে হবে।
সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাকে প্রতি উড়ানে এই ধরনের যাত্রীদের চিহ্নিত করতে হবে (বিশেষ করে বিদেশ থেকে আগত যাত্রী)। যাত্রীদের নিজেদের নমুনা জমা দিয়ে বিমানবন্দর ছাড়তে হবে।
এই ধরনের যাত্রীদের মধ্যে যদি কারওর রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তা-হলে তাঁর রিপোর্ট আইএনএসএসিওজি ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্কে (INSACOG Laboratory Network) জিনোমিক টেস্টিংয়ের জন্য় পাঠানো হবে।
স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল মেনে ওই যাত্রীদের চিকিৎসা কিংবা আইসোলেট করা হবে। পরবর্তী ১৪ দিন সেই যাত্রীদের নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে।
সেলফ মনিটরিংয়ের সময়ে যদি ভ্রমণার্থীদের দেহে করোনার কোনও উপসর্গ প্রকাশ পায়, তা-হলে তাঁদের সেলফ-আইসোলেট করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অথবা জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর (১০৭৫) কিংবা রাজ্য হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে জানাতে হবে।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
উৎসবের মরশুমে ঘরের টান উপেক্ষা করা যায় না, দেশে ফেরার বিমানযাত্রায় জারি নয়া নিয়ম
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement