হোম /খবর /দেশ /
কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে দম্পতি আজ কৃষক, তাঁদের চাষ করা সব্জি পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে

Jharkhand Couple: কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে দম্পতি আজ পুরোপুরি কৃষক, তাঁদের চাষ করা কয়েকশো টন সব্জি পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে

তাঁদের সাফল্য আজ অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা

তাঁদের সাফল্য আজ অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা

Jharkhand Couple: ঝাড়খণ্ডের সেচ প্রকল্পের ক্ষেত্রে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে বিনোদ ও রাধিকাকে

  • Share this:

হাজারিবাগ : ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার এক দম্পতি কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে পুরোদস্তুর কৃষক হয়ে গিয়েছেন৷ তাঁদের সাফল্য আজ অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা৷ দম্পতির মধ্যে স্বামী বিনোদ কুমার ছিলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার৷ তাঁর স্ত্রী রাধিকা পুণায় বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করতেন৷ তাঁদের পথ চলা এখন ন্যাবার্ড, ইফকো-র মতো সংস্থার অনুপ্রেরণাও৷ ঝাড়খণ্ডের সেচ প্রকল্পের ক্ষেত্রে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে বিনোদ ও রাধিকাকে৷ তাঁরা এখন একমাত্র কৃষক যাঁরা নিজেরাই সেচের মাধ্যমে ফসল ফলান ঘরে বসেই, মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে৷

তরমুজ, শশা, করলা-সহ রকমারি সব্জি চাষ করছেন এই দম্পতি৷ তাঁদের চাষ করা কয়েকশো টন সব্জি পাড়ি দিচ্ছে অন্যান্য রাজ্য, এমনকি দেশের সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশেও৷ ২০২০ সালে দেশ যখন কোভিড অতিমারিতে বিপর্যস্ত, তখন বাকিদের মতো অনিশ্চয়তা গ্রাস করেছিল এই দম্পতিকেও৷ সে সময় তাঁরা দুজনেই বাড়ি থেকে বহু দূরে পুণা শহরে ব্যস্ত নিজেদের চাকরি নিয়ে৷ সে সময় চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁদের পক্ষে খুব একটা সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না৷

কিন্তু ক্রমে অনিশ্চয়তা গ্রাস করছিল তাঁদের৷ শেষ পর্যন্ত লাভ ক্ষতির হিসেব ছেড়ে চাকরি ছেড়েই দেন বিনোদ ও রাধিকা৷ টাকার তুলনায় সুখ ও শান্তিকেই তাঁদের প্রিয় মনে হয়৷ তার পর আড়াই বছর ধরে তাঁদের জীবনে আমূল পরিবর্তন এসেছে তিল তিল করে৷

আরও পড়ুন :  বেলারুশের তরুণীকে বিয়ে করে সে দেশেই থিতু হয়ে লাখপতি মুম্বইয়ের যুবক

হাজারিবাগ জেলার চুরচু ব্লকে বিনোদের দেশের বাড়ি৷ তিনি ভাবলেন নতুন পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করবেন৷ তাঁর হাতে চাষের জন্য বেশি জমি ছিল না৷ তিনি ১০ বছরের জন্য ১৮ একর জমি লিজ নেন৷ পতিত হিসেবে পড়ে থাকা জমি বছরের ৭-৮ মাস শূন্যই পড়ে থাকত৷ কৃষি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে তিনি তরমুজ চাষ করলেন৷ সেচ পদ্ধতিতে ড্রিপ পদ্ধতি চালু করে প্রথম বছরেই অর্থাৎ ২০২১ সালে ১৫০ টন তরমুজ চাষ করলেন৷ পরের বছর ২১০ টন তরমুজ চাষ করা হল৷ মোট ব্যবসা পৌঁছয় ১০ লক্ষ টাকায়৷

 

এছাড়াও শশা, করলা, লঙ্কা, টমেটো-সহ নানা সব্জির চাষ করেছেন তাঁরা৷ স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে তাঁরা একটা সংস্থা তৈরি করেছেন তাঁরা৷ যাতে গ্রামে চাষ করা আনাজপাতি সরাসরি বাজারেই বিক্রি করা যায় কোনও ফড়েদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই৷ স্বয়ংক্রিয় সেচ ব্যবস্থার পাইলট প্রজেক্টে এই দম্পতিকে মনোনীত করেছে৷ সেন্সর ও ডিজিটাল পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তৈরি এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দূর থেকেও সেচপদ্ধতিতে চাষ করা যাবে৷

এই মুহূর্তে ৫ একর জমি চাষ করছেন বিনোদ৷ ৫ একর জমিকে চার ভাগে ভাগ করে অ্যাপের মাধ্যমে চাষ করছেন৷ এ রাজ্যে এই পদ্ধতিতে এই প্রথম চাষ করা হচ্ছে৷ প্রাক্তন কর্পোরেট চাকুরে দম্পতির আশা, তাঁদের দেখে উৎসাহিত হবেন বাকি কৃষিজীবীরা৷

Published by:Arpita Roy Chowdhury
First published:

Tags: Corporate Job, Farmer, Jharkhand