কোটা, রাজস্থান: কেরিয়ার গড়া প্রতিটি শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের স্বপ্ন। আর কেরিয়ার গড়ার জন্য আদর্শ স্থান হল ভারতের রাজস্থানের কোটা। এখানে শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসেন। আসলে আইআইটি ও ডাক্তারির প্রস্তুতির জন্য এখানকার ইতিহাস প্রায় দীর্ঘ চার দশকের। দেশ তো বটেই, বিদেশ থেকেও প্রচুর শিক্ষার্থী কোচিং করতে এখানে আসেন। কোটা শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪ হাজার হোস্টেল ও দেড় হাজারেরও বেশি মেস রয়েছে। এমনকী, আছে ২৫ হাজারেরও বেশি পিজি-ও।
আসলে এখানে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের সকলের অবস্থা সমান নয়। সমাজের সব স্তর থেকেই পড়তে আসেন তাঁরা। ফলে এখানে হোস্টেলগুলিতে সাধারণ মানের ঘর থেকে শুরু করে বিলাসবহুল ফাইভ স্টার মানের ঘরের বন্দোবস্তও রাখা হয়েছে। সেই হোস্টেলগুলির গল্পই শুনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন- ইউপিপিএসসি-র প্রস্তুতি নিয়ে পিএইচডি ছাড়েন, দ্বিতীয় হয়ে সঙ্গীতা এখন এসডিএম
শিক্ষার্থীদের প্রতিটি প্রয়োজনের দিকে নজর:
ওই এলাকায় রয়েছে কৌশল্যা রেসিডেন্সি নামে একটি হোস্টেল ৷ সেখানকার মালিক গজেন্দ্র সিং বলেন যে, এখানকার হোস্টেল এবং পিজি-তে থাকা শিক্ষার্থীদের বাড়ির মতোই দেখাশোনা করা হয়। কারণ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য নিজেদের বাড়ি থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থাকছেন। আর সেখানে একটা বাড়ির মতো পরিবেশ না পেলে কি হয়। তাই এই কথাটা ভেবেই এখানে তাঁদের বাড়ির পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের পছন্দের খাবার এবং পুষ্টির বিষয়ে পুরো খেয়াল রাখা হয়। এমনকী, নিজেদের পছন্দের খাবারও পান এখানকার আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
হোস্টেলের ব্যবস্থা:
কৌশল্যা রেসিডেন্সির মালিক গজেন্দ্র সিং আরও বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীর অর্থনৈতিক অবস্থা অনুযায়ী শহরে হোস্টেল, পিজি, রুম এবং মেস রয়েছে। কোচিং এলাকা থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরত্বের পর থেকে কম টাকায় পিজি রুম পাওয়া যায়। যেখানে খানাপিনা-সহ একটি ঘরের ভাড়া প্রায় ৫ হাজার টাকা পড়ে। এছাড়া এর কমেও রয়েছে মেস-হোটেলও। যেমন - বাজেট ফ্রেন্ডলি মেসে মাসিক ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকায় খানাপিনা-সহ ঘর ভাড়া পাওয়া যায়। এই সব মেসে শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ দিন বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে।
আরও পড়ুন- ঘরে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি করছেন না তো? অধিকাংশ মানুষ জানেনই না
কেমন হয় বিলাসবহুল হোস্টেল?
কোচিং এলাকার একেবারে কাছে কিছু ৮ থেকে ১০ তলা হোস্টেলও গড়ে উঠেছে। সেই বড় বড় বিল্ডিং দেখে মনে হবে যে, যেন কোনও মেট্রো সিটিতে চলে এসেছেন। এই হোস্টেলে কক্ষ পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মাসিক ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিতে হয়। সেখানকার আবাসিকরা সকালে চা-জলখাবার, লাঞ্চ, সন্ধ্যায় চা এবং রাতে ডিনার পেয়ে থাকেন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন বিশেষ বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, হোস্টেলে যাতে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারেন তার জন্য থাকে ওয়াই-ফাই-এর ব্যবস্থাও। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও বজায় রাখা হয়, এমনকী থাকে মেডিকেল ফেসিলিটিও। এছাড়া উৎসবের সময় এখানে কেউ থেকে গেলে তাঁদের জন্যও উৎসবের আয়োজন করা হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Hostel, Kota, Viral News