মাঝেমধ্যেই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সাফল্যের নানা গল্প ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ খুব দারিদ্রের মধ্যে থেকে এসে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কেউ আবার ভাল কেরিয়ার ছেড়ে দেশসেবার টানে যোগ দিয়েছেন সিভিল সার্ভিসে। এসডিএম সঙ্গীতা রাঘবের গল্পও একই রকম। পিএইচডি মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে ইউপিপিএসসি পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমবার সাফল্য মেলেনি। কিন্তু দ্বিতীয়বার শুধু পাশ করেন তাই নয়, টপার হন।
সরকারি কর্তা হওয়ার কথা কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবেননি সঙ্গীতা। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন গুরুগ্রামের দেবসমাজ বিদ্যানিকেতন স্কুলে। তারপর ভর্তি হন সরকারি গার্লস কলেজে। সেখান থেকেই স্নাতক হন। এরপর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। পিএইচডি-র জন্য ভর্তি হন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। সঙ্গীতার বাবা দীনেশ রাঘব ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মা গৃহিণী। স্নাতকোত্তর পড়ার সময় সঙ্গীতাকে বিশ্বব্যাঙ্ক এবং দক্ষিণ এশিয়ান ইনস্টিটিউট প্রকল্পের জন্য নেপাল এবং হিমাচলপ্রদেশে যেতে হয়। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে গভীরভাবে মেশেন। শোনেন তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা। সাধ্যমতো সাহায্যও করেন।
এখান থেকেই সরকারি কর্মকর্তা হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা মাথায় আসে সঙ্গীতার। কেরিয়ারের অভিমুখ বদলে ফেলতে দুবার ভাবেননি। শুরু হয় সরকারি কর্তা হয়ে ওঠার যাত্রা। ২০১৭ সালে সঙ্গীতা প্রথম বার ইউপিপিসিএস পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু পাশ করতে পারেননি। হতাশ না হয়ে দ্বিগুণ পরিশ্রম শুরু করেন সঙ্গীতা। ২০১৮ সালে ইউপিপিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।