#নয়া দিল্লি: ২০২০ পেরোলেও করোনা (Coronavirus) পিছু ছাড়েনি। ভ্যাকসিন ভরসা জোগাচ্ছে। তবে করোনার নতুন মিউটেশন নিয়ে চিন্তায় বিশ্ববাসী। এর মাঝেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। সেই সূত্রে সংক্রমণ প্রতিরোধে এক নয়া পদক্ষেপ করল জাপানের অটো জায়ান্ট Honda। করোনার মোকাবিলা করতে একটি মাস্ক তৈরি করল এই গাড়িপ্রস্তুতকারী সংস্থা। এ ক্ষেত্রে কুরুমাকু (Kurumaku) নামে একটি অ্যান্টি-ভাইরাল কেবিন এয়ার ফিল্টার তৈরি করেছে Honda Japan।
কেবিনের রেগুলার এয়ার ফিল্টারের উপরের দিকেই এই নতুন এয়ার ফিল্টার প্রোডাক্টটি ইনস্টল করা যাবে। এ ক্ষেত্রে এই এয়ার ফিল্টারে জিঙ্ক ফসফেট কেমিক্যাল কনভার্সান সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। তবে শুধু Honda নয়, একই ধরনের CN95 ফিল্টার বের করেছে গিলির (Geely) মতো গাড়িপ্রস্তুতকারী সংস্থাও। যা কেবিনকে নানা ধরনের ভাইরাস ও ০.৩ মাইক্রোনের থেকে বড় সমস্ত পার্টিকল থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। বলা বাহুল্য, এই কুরুমাকু টেকনোলজি কেবিনের মধ্যে উপস্থিত থাকা ভাইরাস থেকেও মানুষজনকে রক্ষা করতে পারে।
এ ক্ষেত্রে Honda Japan-এর দাবি, প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি নতুন এই এয়ার ফিল্টার প্রায় ৯৯.৮ শতাংশ পর্যন্ত ভাইরাস ড্রপলেট আটকাতে পারে। এয়ার রি-সার্কুলেশন সিস্টেমটি অন করার মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই কাজ শুরু করে দেয় এটি। তা ছাড়া কেবিনের ও আশেপাশের পৃষ্ঠতলে লেগে থাকা ভাইরাসগুলিও দূর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে এই মাস্কসদৃশ প্রোডাক্ট কুরুমাকু প্রায় এক বছর পর্যন্ত চলতে পারে। অটো-এক্সপার্টদের কথায়, প্রায় ১৫,০০০ কিলোমিটার বা ৯,৩২০ কিলোমিটার পর্যন্ত অত্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে এটি।
গাড়িপ্রস্তুতকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জাপানে তাদের নতুন মডেল N-Box Kei-তে এই নতুন প্রোডাক্টটি অর্থাৎ কুরুমাকু লঞ্চ করতে চলেছে Honda। এ ক্ষেত্রে এই প্রোডাক্টটির দাম হবে ৬,৪০০ yen অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪,৫০০ টাকা। সঙ্গে ট্যাক্সও যুক্ত হবে। প্রস্তুতকারী সংস্থা জানাচ্ছে, শীঘ্রই Honda-র অন্যান্য মডেলগুলিতেও যুক্ত করা হবে এটি।