মোমোর এই ছবির ইতিহাস কী? জানেন কোথা থেকে এল এই ছবি

Last Updated:
#কলকাতা: যে মোমো সুস্বাদু তিব্বতি খাবার ছিল। তাই এখন আতঙ্কের নাম। শুনলেই এক অদ্ভূতুড়ে ছবি ভেসে ওঠে। মোমোর এই ছবির ইতিহাস কী? কোথা থেকে এল এ ছবি? কে বানালেন?
মিদোরি হায়াশি বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি, তাঁর নাম এ ভাবে ছড়িয়ে পড়বে। নাম ছড়িয়ে পড়বে চেয়েছিলেন। প্রত্যেক শিল্পীই তো তাই চান। জাপানের মিদোরিও চেয়েছিলেন শিল্পী হিসেবে দাগ কাটার। একটু অন্য রকম কাজ করার। পুতুল বানানোর ক্লাসে শিখেছিলেন পুতুলের কত রকমের ফর্ম হয়। জীবজন্তুর হাড়, ধাতু আর মোম দিয়ে অদ্ভুতুড়ে পুতুল বানিয়ে সাড়া ফেলতে চেয়েছিলেন। অদ্ভুতুড়ে পুতুল। মিদোরির নিজের কথায় ক্রিপি ডলস। জাপানী উপকথায় যে রকম চরিত্রের কথা আছে। মুখ মানুষের মতো অথচ শরীর কোনও জন্তুর মতো। যেগুলো দেখলে একটু অস্বস্তি হবে। পুতুল বানানোর সময় সবচেয়ে যত্ন নিতেন পুতুলের চোখ আর মুখ বানাতে। এই ভাবেই একদিন বানিয়ে ফেললেন এক অদ্ভুত দর্শন পুতুলের কনসেপ্ট। যে কনসেপ্টের পূর্ণতা পায় লিংক ফ্যাক্টরি নামে একটি স্পেশাল এফেক্ট ফার্মের মাধ্যমে। ওই ফার্মেরই ওয়েবসাইট থেকে এই মডেলের ছবি প্রথম প্রকাশ পায়। যদিও পরে ওই ছবির সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই স্বীকার করে না লিংক ফ্যাকটরি।
advertisement
advertisement
বিতর্ক এড়াতে মিদোরি হায়াশিও নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানিয়ে দেন, মোমো তাঁর সৃষ্টি নয়। কিন্তু ততদিনে মোমো-র ছবি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। মোমো চ্যালেঞ্জের আতঙ্ক- গুজব সব কিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে পড়েছে জাপানি শিল্পী মিদোরি হায়াশির নাম। শুধু তাই নয় মিদোরি হায়াশি যেহেতু জাপানি এবং লিংক ফ্যাক্টরিও যেহেতু টোকিও-র সংস্থা, তাই প্রাথমিক ভাবে ধরেই নেওয়া হয়েছিল জাপানেরই কোনও চক্র নেটদুনিয়ায় জাল ছড়াচ্ছে। যেহেতু ব্লু হোয়েলের মতো মারণ চ্যালেঞ্জ এখন মুখে মুখে ফিরছে। তাই আতঙ্ক ছড়াতে মোমো চ্যালেঞ্জকে খুব কষ্ট করতে হয়নি। যদিও পৃথিবীর কোনও দেশের পুলিশই এখনও মোমো চ্যালেঞ্জের অস্তিত্ব মানেনি। কিন্তু মোমো চ্যালেঞ্জের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। কারও হোয়াটসঅ্যাপে যদি এই রকম কোনও ছবি আসে। চট করে একটা ঝটকা লাগবেই। একটা হিমশীতল অনুভূতি। একটা শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে আসা ঠান্ডা স্রোত। যে ঝটকাটাই দিতে চেয়েছিলেন মিদোরি হায়াশি। তাঁর অদ্ভুতুড়ে পুতুলগুলোর মধ্যে দিয়ে। চেয়েছিলেন, যাঁরা দেখবেন, তাঁদের অস্বস্তি হোক। ওই অস্বস্তিই তাঁর শিল্পস্বত্তার সার্থকতা। কিন্তু মিদোরি চাননি, তাঁর শিল্প হয়ে উঠুক কোনও চক্রান্তের মুখ। কারও মৃত্যুর কারণ। তাই হয়তো নিজের সৃষ্টি থেকে নিজেই বিচ্ছিন্ন থাকতে চেয়েছেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
মোমোর এই ছবির ইতিহাস কী? জানেন কোথা থেকে এল এই ছবি
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement