মা পরিচারিকা, বাবা বিক্রি করতেন ডাবের জল! ছেলের অভিনীত ছবি এবার অস্কারের শর্টলিস্টে  

Last Updated:
অস্কার শর্টলিস্টিংয়ের খবর পেয়ে বিশাল জেঠওয়া জানান, এই খবর পেয়ে তিনি প্রথমে মাকে ফোন করেন এবং এটা তাঁর জীবনের একটি অত্যন্ত সম্মানজনক মুহূর্ত ছিল। তাঁর দীর্ঘদিনের সংগ্রাম, অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রম এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দিকে নিয়ে গেছে। 
1/15
এক সময় তাঁর মা লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করতেন। বাবা বিক্রি করতেন ডাবের জল! তাঁদেরই ছেলে এবার বিশ্বজয়ের পথে! তাঁর অভিনীত ছবি এবার অস্কারের শর্টলিস্টে! বুঝতে পারছেন কার কথা হচ্ছে? 
এক সময় তাঁর মা লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করতেন। বাবা বিক্রি করতেন ডাবের জল! তাঁদেরই ছেলে এবার বিশ্বজয়ের পথে! তাঁর অভিনীত ছবি এবার অস্কারের শর্টলিস্টে! বুঝতে পারছেন কার কথা হচ্ছে?
advertisement
2/15
পর্দায় তাঁর দৃষ্টির নিষ্ঠুর শীতলতা চমকে দিয়েছিল দর্শকদের। রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমানতালে সাবলীল অভিনয় করে ছোটপর্দা থেকে উঠে আসা এক তরুণ অভিনেতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন—তিনি হালকা নন। ‘মর্দানী ২’-এ কিশোর অপরাধী ‘সানি’-র চরিত্রে তাঁর হাড়হিম করা উপস্থিতি দীর্ঘদিন দর্শকের মনে দাগ কেটে বসে যায়।
পর্দায় তাঁর দৃষ্টির নিষ্ঠুর শীতলতা চমকে দিয়েছিল দর্শকদের। রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমানতালে সাবলীল অভিনয় করে ছোটপর্দা থেকে উঠে আসা এক তরুণ অভিনেতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন—তিনি হালকা নন। ‘মর্দানী ২’-এ কিশোর অপরাধী ‘সানি’-র চরিত্রে তাঁর হাড়হিম করা উপস্থিতি দীর্ঘদিন দর্শকের মনে দাগ কেটে বসে যায়।
advertisement
3/15
রানি মুখোপাধ্যায়ের দাপুটে অভিনয়ের পাশেই রক্তজল করা চোখে তাকিয়ে ২৫ বছর বয়সে নজর কেড়ে নিয়েছিলেন বিশাল জেঠওয়া। তাঁর অভিনয়ে অস্বস্তি ছিল, ছিল ভয়—আর ছিল এক ধরনের বাস্তব নিষ্ঠুরতা। ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় পৌঁছনোর এই যাত্রা সহজ ছিল না বিশালের কাছে। একের পর এক ধাপ পেরিয়ে ধীরে ধীরে বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করছেন তিনি।
রানি মুখোপাধ্যায়ের দাপুটে অভিনয়ের পাশেই রক্তজল করা চোখে তাকিয়ে ২৫ বছর বয়সে নজর কেড়ে নিয়েছিলেন বিশাল জেঠওয়া। তাঁর অভিনয়ে অস্বস্তি ছিল, ছিল ভয়—আর ছিল এক ধরনের বাস্তব নিষ্ঠুরতা। ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় পৌঁছনোর এই যাত্রা সহজ ছিল না বিশালের কাছে। একের পর এক ধাপ পেরিয়ে ধীরে ধীরে বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করছেন তিনি।
advertisement
4/15
অস্কার ২০২৫-এর দৌড়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগের জন্য ভারত থেকে মোট ২৪টি ছবি মনোনীত হয়। তার মধ্য থেকে নির্বাচিত হয় ঈশান খট্টর ও জাহ্নবী কপূর অভিনীত ছবি ‘হোমবাউন্ড’। বিশ্বজুড়ে সিনেপ্রেমীদের নজর কেড়ে নেয় ছবিটি। ঈশান-জাহ্নবীর পাশাপাশি এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিশাল জেঠওয়া। ২০২৫ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘হোমবাউন্ড’-এর প্রিমিয়ার হয়। কানের রেড কার্পেটে সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে পা মিলিয়ে হাঁটেন বিশালও।
অস্কার ২০২৫-এর দৌড়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগের জন্য ভারত থেকে মোট ২৪টি ছবি মনোনীত হয়। তার মধ্য থেকে নির্বাচিত হয় ঈশান খট্টর ও জাহ্নবী কপূর অভিনীত ছবি ‘হোমবাউন্ড’। বিশ্বজুড়ে সিনেপ্রেমীদের নজর কেড়ে নেয় ছবিটি। ঈশান-জাহ্নবীর পাশাপাশি এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিশাল জেঠওয়া। ২০২৫ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘হোমবাউন্ড’-এর প্রিমিয়ার হয়। কানের রেড কার্পেটে সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে পা মিলিয়ে হাঁটেন বিশালও।
advertisement
5/15
তাঁর বলিউড সিনেমা হোমবাউন্ড-এর জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। হোমবাউন্ড ছবিটি ৯৮তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস (অস্কার ২০২৬)–এর সেরা আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য ফিচার ফিল্ম বিভাগে ১৫টি শর্টলিস্টেড ছবির মধ্যে নাম করে নিয়েছে, যা ভারতীয় সিনেমার জন্য বিরল একটি অর্জন। 
তাঁর বলিউড সিনেমা হোমবাউন্ড-এর জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। হোমবাউন্ড ছবিটি ৯৮তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস (অস্কার ২০২৬)–এর সেরা আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য ফিচার ফিল্ম বিভাগে ১৫টি শর্টলিস্টেড ছবির মধ্যে নাম করে নিয়েছে, যা ভারতীয় সিনেমার জন্য বিরল একটি অর্জন। ছবিটি নেটফ্লিক্সে  দেখতে পাবেন। 
advertisement
6/15
নিজে যে ছবিতে অভিনয় করেছেন, সেই ছবি কানে প্রদর্শিত হওয়া—এই প্রাপ্তিই ছিল বড়। কিন্তু বিশালের কাছে তার চেয়েও বড় পাওনা ছিল প্রথমবার মাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানের বিজ়নেস ক্লাসে বিদেশ সফর। কারণ তাঁদের পরিবারের কাছে একসময় বিদেশ যাওয়া ছিল ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতো। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বিশাল।
নিজে যে ছবিতে অভিনয় করেছেন, সেই ছবি কানে প্রদর্শিত হওয়া—এই প্রাপ্তিই ছিল বড়। কিন্তু বিশালের কাছে তার চেয়েও বড় পাওনা ছিল প্রথমবার মাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানের বিজ়নেস ক্লাসে বিদেশ সফর। কারণ তাঁদের পরিবারের কাছে একসময় বিদেশ যাওয়া ছিল ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতো। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বিশাল।
advertisement
7/15
১৯৯৪ সালের ৬ জুলাই এক গুজরাতি পরিবারে বিশালের জন্ম। বাবা নরেশ জেঠওয়া ও মা প্রীতি জেঠওয়া। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া বিশালের শৈশব কেটেছে অভাবের মধ্যেই। জীবিকার তাগিদে একসময় মুম্বই পাড়ি দেন নরেশ। কিন্তু বাণিজ্যনগরীতে এসে ভাগ্য সহায় হয়নি।
১৯৯৪ সালের ৬ জুলাই এক গুজরাতি পরিবারে বিশালের জন্ম। বাবা নরেশ জেঠওয়া ও মা প্রীতি জেঠওয়া। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া বিশালের শৈশব কেটেছে অভাবের মধ্যেই। জীবিকার তাগিদে একসময় মুম্বই পাড়ি দেন নরেশ। কিন্তু বাণিজ্যনগরীতে এসে ভাগ্য সহায় হয়নি।
advertisement
8/15
ছোটখাটো কাজ করে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত মুম্বইয়ের রাস্তায় ডাব বিক্রি শুরু করেন নরেশ। ঘিঞ্জি চালে ঠাঁই হয় পরিবারের। অভাব সত্ত্বেও ছেলের পড়াশোনার ব্যাপারে কোনও আপস করেননি নরেশ ও প্রীতি।
ছোটখাটো কাজ করে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত মুম্বইয়ের রাস্তায় ডাব বিক্রি শুরু করেন নরেশ। ঘিঞ্জি চালে ঠাঁই হয় পরিবারের। অভাব সত্ত্বেও ছেলের পড়াশোনার ব্যাপারে কোনও আপস করেননি নরেশ ও প্রীতি।
advertisement
9/15
কিন্তু মুম্বইয়ে থিতু হওয়ার আগেই বিশাল ও তাঁর মায়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। আচমকাই মারা যান নরেশ জেঠওয়া। পরিবার কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়ে। সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয় প্রীতিকে।
কিন্তু মুম্বইয়ে থিতু হওয়ার আগেই বিশাল ও তাঁর মায়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। আচমকাই মারা যান নরেশ জেঠওয়া। পরিবার কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়ে। সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয় প্রীতিকে।
advertisement
10/15
শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকায় চাকরি জোটেনি। বাধ্য হয়ে পরিচারিকার কাজ নেন প্রীতি। দিনের পর দিন অন্যের বাড়িতে রান্না করা, বাসন মাজা, ঘর পরিষ্কার করে বড় করেন তিন সন্তানকে। কাজের সময় অপমানও কম সহ্য করতে হয়নি তাঁকে। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সব অপমান নীরবে সহ্য করে গিয়েছেন প্রীতি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকায় চাকরি জোটেনি। বাধ্য হয়ে পরিচারিকার কাজ নেন প্রীতি। দিনের পর দিন অন্যের বাড়িতে রান্না করা, বাসন মাজা, ঘর পরিষ্কার করে বড় করেন তিন সন্তানকে। কাজের সময় অপমানও কম সহ্য করতে হয়নি তাঁকে। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সব অপমান নীরবে সহ্য করে গিয়েছেন প্রীতি।
advertisement
11/15
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে মুম্বইয়ের ঠাকুর কলেজ অফ কমার্স থেকে স্নাতক হন বিশাল। কলেজ জীবনেই থিয়েটারের প্রতি আগ্রহ জন্মায় তাঁর। অভিনয়ের সুযোগ পেতে প্রথম কয়েক বছর প্রযোজনা সংস্থার দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়। যে চরিত্রই এসেছে, তা গ্রহণ করেছেন নির্দ্বিধায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে মুম্বইয়ের ঠাকুর কলেজ অফ কমার্স থেকে স্নাতক হন বিশাল। কলেজ জীবনেই থিয়েটারের প্রতি আগ্রহ জন্মায় তাঁর। অভিনয়ের সুযোগ পেতে প্রথম কয়েক বছর প্রযোজনা সংস্থার দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়। যে চরিত্রই এসেছে, তা গ্রহণ করেছেন নির্দ্বিধায়।
advertisement
12/15
বলিউডে সুযোগ পাওয়ার আশায় স্পট বয় থেকে লাইট ধরার কাজও করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালে ভাগ্য ফেরে। হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ পান বিশাল। অভিনয় দক্ষতার জন্য নির্মাতাদের নজরে পড়তে সময় লাগেনি।
বলিউডে সুযোগ পাওয়ার আশায় স্পট বয় থেকে লাইট ধরার কাজও করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালে ভাগ্য ফেরে। হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ পান বিশাল। অভিনয় দক্ষতার জন্য নির্মাতাদের নজরে পড়তে সময় লাগেনি।
advertisement
13/15
পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশাল বলেছিলেন, চালে বড় হওয়া অন্য শিশুদের মতো তিনিও আকাশে উড়োজাহাজ দেখলে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতেন। বিদেশ যাওয়া ছিল কেবল কল্পনায়। সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে বাস্তবের দিকে এগিয়ে যায়। মায়ের সঙ্গে বিদেশ সফর তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।
পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশাল বলেছিলেন, চালে বড় হওয়া অন্য শিশুদের মতো তিনিও আকাশে উড়োজাহাজ দেখলে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতেন। বিদেশ যাওয়া ছিল কেবল কল্পনায়। সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে বাস্তবের দিকে এগিয়ে যায়। মায়ের সঙ্গে বিদেশ সফর তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।
advertisement
14/15
Who Is Vishal Jethwa ‘মহারানা প্রতাপ’ ধারাবাহিকে আকবর চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পান বিশাল। পরে ‘দিয়া অউর বাতি হাম’, ‘পেশওয়া বাজিরাও’-এর মতো ধারাবাহিকেও কাজ করেন। বড়পর্দায় তাঁর অভিষেক হয় ‘মর্দানী ২’-এর মাধ্যমে।
‘মহারানা প্রতাপ’ ধারাবাহিকে আকবর চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পান বিশাল। পরে ‘দিয়া অউর বাতি হাম’, ‘পেশওয়া বাজিরাও’-এর মতো ধারাবাহিকেও কাজ করেন। বড়পর্দায় তাঁর অভিষেক হয় ‘মর্দানী ২’-এর মাধ্যমে। এর পর কাজল অভিনীত ‘সালাম ভেঙ্কি’, সলমন খান-ক্যাটরিনা কাইফের ‘টাইগার ৩’-এ দেখা যায় তাঁকে। যদিও ‘মর্দানী ২’-এর পর প্রত্যাশা থাকলেও খুব বেশি ছবিতে দেখা যায়নি তাঁকে।
advertisement
15/15
২০২২ সালে ওয়েব সিরিজ় ‘হিউম্যান’-এর মাধ্যমে কামব্যাক করেন বিশাল। নিজেকে আরও প্রস্তুত করে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শুরুতে ওটিটিতে কাজ নিয়ে অনীহা থাকলেও পরে সেই ভাবনা বদলান তিনি।
২০২২ সালে ওয়েব সিরিজ় ‘হিউম্যান’-এর মাধ্যমে কামব্যাক করেন বিশাল। নিজেকে আরও প্রস্তুত করে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শুরুতে ওটিটিতে কাজ নিয়ে অনীহা থাকলেও পরে সেই ভাবনা বদলান তিনি। ৩১ বছর বয়সি বিশালের এই সাফল্য শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং ভারতের সিনেমা শিল্পের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন, যা আগামী অস্কার মরসুমে আরও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
advertisement
advertisement
advertisement