মথুরা : মথুরায় সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে ৬০ বছর বয়সি দৃষ্টিহীন হস্তিনীকে পাঠানো হল হাসপাতালে৷ এলিফ্যান্ট কনজারভেশন অ্যান্ড কেয়ার ইউনিটের আধিকারিক জানিয়েছেন হস্তিনীটি একাধিক রোগে আক্রান্ত (Elephant being treated at hospital)৷
সংরক্ষণ কেন্দ্রে তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘জিঞ্জার’ (Ginger)৷ একেই সে দষ্টিহীন৷ তার উপর ভুগছে হাড়ের অসুখে৷ তার দুই পায়ের নীচের অংশ ক্ষতবিক্ষত৷ অপুষ্টিজনিত সমস্যাতেও আক্রান্ত সে৷ জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ভেটেরিনারি সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর ডক্টর এস ইলায়ারাজা৷
আরও পড়ুন : এ কী বিড়ম্বনা! গ্রামের নাম শুনেই ভয় পাচ্ছে মানুষ! কী রয়েছে ওই গ্রামে?
তপ্ত পথে নিয়মিত দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার ফলে জিঞ্জারের দু’টি পায়ের তলদেশ একটাই আঘাত পেয়েছে যে সে যন্ত্রণায় কাতর৷ বহন করতে পারে না নিজের দেহের ওজনই৷ তার চিকিৎসা চলছে হাতিদের জন্য নির্মিত বিশেষ হাসপাতালে৷ ইলায়ারাজা জানিয়েছেন, সেখানে পেইন ম্যানেজমেন্ট এবং লেসার থেরাপি চলছে৷ পায়ের ক্ষত নিরাময়ে সোল গার্ড থেরাপি শুরু করা হবে৷
আরও পড়ুন : গোয়ার উত্তাপ পৌঁছল দিল্লিতে
জিঞ্জারের এনক্লোজারে তৈরি করা হয়েছে মাড বেড৷ চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে সে আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় আরাম পায়৷ এর ফলে জিঞ্জার শুতে পারবে৷ তার শরীরের বিভিন্ন গাঁট এবং পায়ের ব্যথার সমস্যায় আরাম পাবে৷ হাতির জীবনচক্র সাধারণত ৭০ বছরের হয়৷
সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জিঞ্জারকে আগে ভিক্ষাবৃত্তি এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজে লাগানো হত৷ রাজ্যের বনদফতর এবং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌখ উদ্যোগে উদ্ধার করা হয় জিঞ্জারকে৷ তার সুস্থতার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।