Indigo Delhi Srinagar Flight: মিনিটে ৮৫০০ ফুট অবতরণ, বিকল অটো পাইলট! প্রবল ঝড়ের মধ্যেও কীভাবে দুশো যাত্রীর প্রাণরক্ষা করলেন ইন্ডিগো-র দুই পাইলট?

Last Updated:

ডিজিসিএ-এর কাছে জমা পড়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সামনে প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং ঝড়ের সতর্কবার্তা পেয়ে প্রথমে ভারতীয় বায়ুসেনার নর্দান কম্যান্ড-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন দুই পাইলট৷

ইন্ডিগো-র সেই বিমান৷
ইন্ডিগো-র সেই বিমান৷
নয়াদিল্লি: সামনে বিধ্বংসী ঝড়৷ এগিয়ে গেলে বিমানে থাকা দুশোজনেরও বেশি যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের প্রাণসংশেয়র আশঙ্কা৷ অন্যদিকে পালানোর পথও কার্যত বন্ধ৷ বার বার আবেদন করলেও নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান৷ এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার সন্ধ্যায় কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ইন্ডিগো বিমানের দুই পাইলট৷ ফেরার পথ নেই বুঝতে পেরেই সরাসরি সামনে থাকা মেঘরাশি এবং প্রলয়ঙ্কর শিলাঝড়ের মধ্যে দিয়েই শ্রীনগরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুই পাইলট৷
এর পরের কয়েক মিনিটে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে যে কোনও মুহূর্তে ইন্ডিগোর ওই বিমানটির চরম পরিণতি হতে পারত৷ প্রথম শিলাবৃষ্টি এবং ঝড়ের দাপটে বিমানটির একের পর এক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা এবং যন্ত্রাংশ খারাপ হতে শুরু করে৷ ঘটনার সময় বিমানটি ৩৬ হাজার ফিট উচ্চতায় ছিল৷ কিন্তু ঝড়ের দাপটে কার্যত অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বিমানটি প্রতি মিনিটে ৮৫০০ ফিট করে অবতরণ করতে থাকে৷ যেখানে এই ধরনের যাত্রীবাহী বিমান স্বাভাবিক গতিতে অবতরণ করলেও খুব বেশি হলে মিনিটে ১৫০০ থেকে ৩০০০ ফিট অবতরণ করে৷ সেই সময় বিমানটি পাঠানকোটে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি ছিল৷
advertisement
advertisement
এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজিসিএ-এর কাছে জমা পড়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সামনে প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং ঝড়ের সতর্কবার্তা পেয়ে প্রথমে ভারতীয় বায়ুসেনার নর্দান কম্যান্ড-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন দুই পাইলট৷ বিমানটির মুখ বাঁদিকে ঘুরিয়ে পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের অনুরোধ করেন তাঁরা৷ কিন্তু সেই অনুমতি মেলেনি৷ এর পর ঝড় থেকে বাঁচতে কিছুক্ষণের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে সরাসরি লাহোর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দুই পাইলট৷ কিন্তু সেই আর্জিও খারিজ হয়ে যায়৷ বিমানের মুখ ঘুরিয়ে দিল্লিতে ফেরাও তখন সম্ভব ছিল না৷ কারণ ততক্ষণে সামনে থাকা মেঘরাশির একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছিল বিমানটি৷ এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়েই সরাসরি ওই ঝড় ভেদ করেই বিমান নিয়ে শ্রীনগরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুই পাইলট৷
advertisement
প্রবল ঝড়ের কবলে পড়তেই ইন্ডিগো-র বিমানটির একের পর এক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা খারাপ হতে থাকে৷ শিলাবৃষ্টির আঘাতে বিমানটির একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি এবং যন্ত্রাংশ অকেজো হতে শুরু করে৷ ঝড়ের দাপটে ক্রমাগত ওঠানামা করতে থাকায় বিমানটির ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমও বিগড়ে যায়৷ একসময় বিমানের অটো পাইলট মোড কাজ করা বন্ধ করে দেয়৷ বিমানটির গতিও অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বাড়তে থাকে৷ এমন কি, সর্বোচ্চ গতির সীমাও ছাড়িয়ে যায়৷ এই পরিস্থিতি ম্যানুয়াল কন্ট্রোলে বা নিজেরাই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা শুরু করেন দুই চালক৷
advertisement
ডিজিসিএ জানিয়েছে, প্রবল ঝড় এবং শিলাবৃষ্টির আঘাতে বিমানটির অ্যাঙ্গেল অফ অ্যাটাক সেন্সরে সমস্যা দেখা দেয়৷ সাধারণত শিলাবৃষ্টি, বরফের আঘাতে বিমানের এই সেন্সর খারাপ হয়ে যেতে পারে৷ বিমানের ডানা কোনওকারণে বাতাসের প্রবাহ ভেদ করে এগিয়ে যাওয়ার সময় বাধা পেলে এই ব্যবস্থা কোনও ধরনের আলো, শব্দ অথবা ভাইব্রেশনের মাধ্যমে পাইলটদের সতর্ক করে৷
advertisement
একসময় হুহু করে প্রতি মিনিটে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ফুট নীচে নামতে শুরু করে বিমানটি৷ তখনও মাথা ঠান্ডা রেখে নিজেদের দক্ষতার উপরে আস্থা রেখে বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণ করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যান দুই পাইলট৷ যত দ্রুত সম্ভব ঝড়ের কবল থেকে বেরিয়ে শ্রীনগরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন দুই পাইলট৷ শেষ পর্যন্ত আপতকালীন পরিস্থিতিতে বিমানটিকে শ্রীনগরে অবতরণ করানো হয়৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Indigo Delhi Srinagar Flight: মিনিটে ৮৫০০ ফুট অবতরণ, বিকল অটো পাইলট! প্রবল ঝড়ের মধ্যেও কীভাবে দুশো যাত্রীর প্রাণরক্ষা করলেন ইন্ডিগো-র দুই পাইলট?
Next Article
advertisement
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না...? অর্পিতাকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না..? অর্পিতা ইস্যুতে মুখ খুললেন পার্থ
  • ‘অর্পিতা আমার বান্ধবী, তাতে অসুবিধার কী আছে...?’

  • অর্পিতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

  • অর্পিতাকে নিয়ে ‘রং চড়িয়ে’ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি

VIEW MORE
advertisement
advertisement