নয়াদিল্লি : মেয়ের উপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগে গ্রেফতার মধ্যবয়সি নার্স ও তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, তাঁরা তাঁদের ৭ বছর বয়সি দত্তককন্যার উপর সাঁড়াশি দিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডের রুরকি থেকে নিজেদের আত্মীয়ের এক কন্যাসন্তানকে দত্তক নিয়েছিলেন। শিশুটির উপর শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ওই নার্স ও তাঁর স্বামী পলাতক। তাঁদের ছেলেকে গ্রেফতারের পর পাঠানো হয়েছে জুডিশিয়াল কাস্টডিতে।
অভিযুক্ত নার্সের নাম রেণু কুমারী কাজ করেন কেন্দ্র সরকারের অধীন এক হাসপাতালে। তিনি এবং তাঁর স্বামী আনন্দকুমারের হাতে চরম নির্মমতার শিকার ওই শিশুসন্তান। ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ওই শিশুকন্যার শরীরে মোট ১৮ টি ক্ষত আছে। এর আগেও তাঁদের ছেলে জনিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বালিকাকে মারধর করার জন্য। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে কর্মরত ওই নার্স সম্পর্কে ওই শিশুকন্যার কাকিমা হন। তাকে দত্তক নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : বয়ফ্রেন্ড ভাড়া চাই? অর্থের বিনিময়ে এই যুবক আপনার প্রেম-সঙ্গী হতে রাজি
নির্যাতিত শিশুর গায়ে ক্ষত প্রথমে দেখতে পান তার স্কুলশিক্ষিকা। তিনিই পুলিশকে খবর দেন। প্রথম শ্রেণীর ওই ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছে আর কে পুরমে সে থাকে তার কাকিমার সঙ্গে। তার অভিযোগ, দত্তক নিয়ে রুরকি থেকে দিল্লিতে আসার পর- পরই শুরু হয় শারীরিক অত্যাচার। রাতে তাকে ঘুমোতে দেওয়া হত খোলা বারান্দা বা ছাদে। এমনকি, শীতে তাকে গরমপোশাক পরতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ। সাঁড়াশি দিয়ে মারধর করার পাশাপাশি জ্বলন্ত কয়লার ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। ছুরি দিয়ে কেটে দেওয়া হয় ঠোঁট। আশ্রিত শিশুর অভিযোগে শিউরে উঠছেন সকলেই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Delhi, Girl Child, Torture