#MeToo: প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এম জে আকবরের মানহানি মামলায় সাংবাদিক প্রিয়া রামানি বেকসুর
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এম জে আকবরের করা মানহানি মামলায় সাংবাদিক প্রিয়া রামানিকে বেকসুর খালাস করল দিল্লির আদালত। বুধবার আকবরের মানহানির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্রকুমার পান্ডের আদালত।
#নয়াদিল্লি: প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এম জে আকবরের করা মানহানি মামলায় সাংবাদিক প্রিয়া রামানিকে বেকসুর খালাস করল দিল্লির আদালত। বুধবার আকবরের মানহানির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্রকুমার পান্ডের আদালত। একইসঙ্গে বিচারকের পর্যবেক্ষণ, 'একজন মহিলা প্রয়োজনে কয়েক দশক পরেও নিজের অভিযোগ জানাতে পারেন।' বিচারক আরও বলেছেন, 'সমাজে প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যক্তিও যৌন হেনস্থাকারী হতে পারেন।'
২০১৭ সালে মার্কিন প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টাইনের বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। টুইটারে ট্রেন্ডিং হয় হ্যাশট্যাগ মিটু (#MeToo)। মার্কিন মুলুক থেকে আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। বাদ যায়নি ভারতও। ঠিক তখনই আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন তাঁরই প্রাক্তন সহকর্মী প্রিয়া রামানি। ২০১৭ সালে একটি প্রতিবেদনে প্রিয়া লেখেন, ২৩ বছর আগে দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে তিনি চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য গিয়েছিলেন। হোটেলের বন্ধ ঘরে তাঁকে বিছানায় ডাকা হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনে কারও নাম নেননি প্রিয়া। একবছর পরেই টুইটারে প্রিয়া দাবি করেন, সেদিক তাঁকে নিজের বিছানায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন একটি জাতীয় সংবাদপত্রের প্রাক্তন এডিটর এম জে আকবর।
advertisement
প্রিয়ার টুইটের পড়েই দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। চাপের মুখে ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর মোদির মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। তার দু'দিন আগে, ১৫ অক্টোবর প্রিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন। আদালতে আকবরের অভিযোগ ছিল, তাঁর খ্যাতি নষ্ট করতেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রিয়ার প্রতিবেদন এবং পরের বছর সরাসরি আকবরের বিরুদ্ধে টুইট সেই ষড়যন্ত্রেরই অঙ্গ। আদালতে প্রিয়ার পাল্টা যুক্তি ছিল, যা সত্যি তিনি সেটাই বলছেন।
advertisement
advertisement
এদিন আকবরের অভিযোগ খারিজ করে বিচারক বলেন, 'রামায়ণ, মহাভারতের মতো মহাকাব্যের দেশে এই ধরনের ঘটনা লজ্জাজনক। সুপ্রিম কোর্টে বিশাখা গাইডলাইন তৈরির আগে পর্যন্ত, সামাজিক লজ্জার কারণে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানানোর অবকাশই ছিল না। একজন নির্যাতিতার উপর যৌন হেনস্থার কী প্রভাব পড়তে পারে তা সমাজকে বুঝতে হবে।'
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
February 17, 2021 6:10 PM IST