#নয়াদিল্লি: ভারত স্বচ্ছ এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কোভিডের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা নথিভুক্ত করেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই দেশের জন্য যে কোভিড মৃত্যুর হার অনুমান করেছে তার সঙ্গে একমত নয় ভারত, শনিবার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। তিনি আরও জানান, সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার (CCHFW) এর ১৪ তম সম্মেলনে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে।
শনিবার শেষ হওয়া তিনদিনের CCHFW ‘স্বাস্থ্য চিন্তন শিবির’-এর দ্বিতীয় দিনে এই প্রস্তাবটি পাস হয়। মনসুখ মান্ডব্য জানান, দেশে জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ১৯৬৯ এর অধীনে বিধিবদ্ধ আইনি কাঠামো দ্বারা তা পরিচালিত হয়। “গতকাল CCHFW-এর সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আমরা একটি প্রস্তাব পাস করেছি যে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতের জন্য যে কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা অনুমান করেছে তার সঙ্গে একমত নই।” WHO জানিয়েছিল, ভারতে কোভিডের কারণে প্রাণ গিয়েছে ৪৭ লক্ষ মানুষের।
আরও পড়ুন- নিজের কন্যাকে ধর্ষণ ও হুমকি, বাবার অত্যাচারের ভিডিও করে পুলিশের দ্বারস্থ মেয়ে!
“ভারত একটি স্বচ্ছ এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত্যুর সংখ্যা নথিভুক্ত করে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রেজিস্ট্রিতে সঠিক এবং নির্ভুল তথ্যই সরবরাহ করেছে,” বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ‘স্বাস্থ্য চিন্তন শিবির’-এ প্রায় ২৫ জন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা মন্ত্রীদের অংশগ্রহণের প্রশংসা করে মনসুখ মান্ডব্য বলেন, “রাজ্যের লক্ষ্যগুলিই আমাদের জাতীয় লক্ষ্য ঠিক করে দেয়। তারা আমাদের বিভিন্ন নীতির জন্য রোডম্যাপ দেয়। স্বাস্থ্য শিবির দেশের জন্য ‘স্বাস্থ্যকর পরিবারের’ ভিত্তি স্থাপন করেছে। আসুন আমাদের নাগরিকদের সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্য নীতির সর্বোত্তম বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য সংকল্প করি এবং অঙ্গীকার করি।” মন্ত্রী আরও বলেন, “স্বাস্থ্য আমাদের জন্য বাণিজ্য নয় বরং সেবা। আমরা চিকিৎসা পর্যটনের প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ‘ভারতের দ্বারা নিরাময়’ ও ‘ভারতে নিরাময়’ হল আমাদের স্বাস্থ্য বাস্তুতন্ত্রের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ যা আগামী বছরগুলিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য বিষয়ে নেতৃত্বস্থানীয় দেশ হিসাবে ভারতকে তুলে ধরবে।”
আরও পড়ুন- ১ বছরে ১৬০০ বার দাবানল ঝাড়খণ্ডের এই বিখ্যাত টাইগার রিজার্ভে! কারণ কী?
শীঘ্রই শুরু হতে চলা ‘টিবি রোগী/গ্রাম দত্তক’ প্রকল্পে যোগদান করার জন্য সকলকে আবেদন জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যেখানে প্রত্যেক মানুষ চাইলে টিবি রোগীদের দত্তক নিতে পারে এবং তাঁদের সুস্থতা, পুষ্টি, সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারে। “২০২৫ সালের মধ্যে টিবি-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে এই প্রকল্পের অবদান থাকবে”, বলেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus COVID 19