প্রতিদিন ৬০ কিমি পাড়ি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পদার্থবিজ্ঞান পড়াতে যান ৯৩ বছর বয়সি এই অধ্যাপিকা

Last Updated:

Andhra Pradesh Teacher : অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগর বা বিজিয়ানগরমের ৯৩ বছর বয়সি অধ্যাপিকা চিলুকুরি সন্থাম্মা আজ প্রজন্মজয়ী নিদর্শন ৷ প্রবীণার সামনে কুর্নিশে নতজানু সামাজিক মাধ্যম৷

প্রবীণার সামনে কুর্নিশে নতজানু সামাজিক মাধ্যম
প্রবীণার সামনে কুর্নিশে নতজানু সামাজিক মাধ্যম
বিজিয়ানগরম : বয়স বেড়েছে৷ এসেছে বার্ধক্য ও জরা ৷ কিন্তু বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি নবতিপর অধ্যাপিকার সদিচ্ছায় ৷ এখনও প্রতিদিন ৬০ কিমি পাড়ি দিয়ে তিনি যান পড়ুয়াদের কাছে৷ তাঁদের পদার্থবিজ্ঞানের জগতে নিয়ে যেতে৷ অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগর বা বিজিয়ানগরমের ৯৩ বছর বয়সি অধ্যাপিকা চিলুকুরি সন্থাম্মা আজ প্রজন্মজয়ী নিদর্শন ৷ প্রবীণার সামনে কুর্নিশে নতজানু সামাজিক মাধ্যম৷
হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর আপাতত তাঁর ভরসা ক্রাচ ৷ তাতে ভর দিয়েই তিনি প্রতিদিন ক্লাস নিতে আসেন সেঞ্চুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ গত ৬ বছর ধরে তিনি এখানে ফেলোশিপে ক্লাস করাচ্ছেন ৷ গত সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি পদার্থবিজ্ঞান-তপস্বী ৷ বয়সের ভার বাধা হয়ে দাঁড়ায় না তাঁর পথে৷ বলেন ‘‘স্বাস্থ্য থাকে আমাদের মনে৷ সম্পদ থাকে আমাদের হৃদয়ে ৷ আমাদের মন ও হৃদয়কে সব সময় তরতাজা রাখা প্রয়োজন ৷ আমি নিজেকে তো অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে তুলনা করতে পারি না৷ কিন্তু আমি জানি একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে পৃথিবীতে এসেছি৷ শেষ শ্বাসবিন্দু পর্যন্ত আমি শিক্ষকতা করে যাব৷’’
advertisement
ছাত্রছাত্রীদের কাছেও এই নবতিপর অত্যন্ত জনপ্রিয় ৷ তাঁর ক্লাস মিস করতে চান না পড়ুয়ারা ৷ তিনি নিজেও ক্লাসে এখনও পৌঁছন ঠিক সময়ে ৷ নিয়মানুবর্তিতার জন্য তিনি সকলের কাছে আদর্শ৷ নিজের বিষয়ে তিনি পড়ুয়াদের কাছে চলমান বিশ্বকোষ৷ অধ্যাপিকার পাশাপাশি তিনি একজন সমাজসেবীও৷ নিজের বাড়ি একটি ট্রাস্টকে দান করে তিনি থাকেন ভাড়া বাড়িতে ৷
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : পা কামড়ে ধরে যুবককে নদীতে টেনে নিয়ে গেল কুমির, আতঙ্কে শঙ্কিত গুজরাত
সন্থাম্মার জন্ম ১৯২৯ সালের ৮ মার্চ৷ মাত্র ৫ বছর বয়সে হারান বাবাকে ৷ তাঁকে বড় করে তোলেন পরিজনরা ৷ ১৯৪৫ সালে তিনি মহারাজা বিক্রম দেও বর্মার কাছ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্বর্ণপদক পান৷ অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা করা মেধাবী সন্থাম্মা সেই প্রতিষ্ঠানেই পদার্থবিদ্যার লেকচারার হিসেবে যোগ দেন ১৯৬৫ সালে ৷ লেকচারার, প্রফেসর, ইনভেস্টিগেটর, রিডার-সহ নানা ভূমিকা পালন করেছেন এই শিক্ষাসাধক ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগে তিনি কর্মরত ছিলেন ইনভেস্টিগেটিভ ইন চার্জ হিসেবে ৷
advertisement
১৯৮৯ সালে ৬০ বছর বয়সে তিনি অবসর গ্রহণ করেন৷ তবে ‘অবসর’ শুধুই তাঁর কাছে একটা শব্দ মাত্র ৷ এর পর তাঁর বিচরণক্ষেত্র হয়ে দাঁড়ায় গবেষণা৷ সাম্মানিক লেকচারার হিসেবে তিনি যোগ দেন অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷
আরও পড়ুন :  পা ফেলতেই হুড়মুড়িয়ে তলিয়ে গেল ফুটপাত! কী হল পথচারীর, দেখুন রোমহর্ষক ভিডিও
প্রতিদিন ভোর চারটের সময় উঠে তিনি নোটস তৈরি করেন৷ জানিয়েছেন তিনি রোজ ৬ টা ক্লাস নিতে পারেন ৷ বিদ্যাচর্চার সুবাদে যোগ দিয়েছেন আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, স্পেন-সহ একাধিক দেশের কনফারেন্সে৷ অ্যাটমিক স্পেক্ট্রোস্কোপি এবং মলিক্যুলার স্পেকট্রোস্কোপিতে তাঁর কাজ তাঁকে এনে দিয়েছে একাধিক পুরস্কার ও স্বর্ণপদক ৷ তাঁর ছাত্ররা আজ আসীন উচ্চশিক্ষাকেন্দ্রে উচ্চপদে ৷
advertisement
সন্থাম্মার স্বামীও ছিলেন তেলুগু ভষার অধ্যাপক ৷ তাঁর মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে কয়েক বছর ৷ স্বামীর হাত ধরে তাঁর পরিচয় হয়েছিল পুরাণ, বেদ. উপনিষদ এবং শ্রীমদ্ভগবতগীতার সঙ্গে ৷ পদার্থবিজ্ঞানের পাশাপাশি তাঁর অনায়াস চলন এ সব শাখাতেও৷ এ সব বিষয়ে বই লিখে পরবর্তী প্রজন্মকে আলোকিত করে যেতে চান এই শিক্ষাব্রতী ৷
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
প্রতিদিন ৬০ কিমি পাড়ি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পদার্থবিজ্ঞান পড়াতে যান ৯৩ বছর বয়সি এই অধ্যাপিকা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement