ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি কোথায় দাঁড়িয়ে? শুল্ক বৃদ্ধির ভবিষ্যৎ কী? লোকসভায় অভিষেকের প্রশ্নের জবাব দিল কেন্দ্র

Last Updated:

ভারত–মার্কিন বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি? আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে? তার ভবিষ্যৎই বা কী? তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও ভারতের উপর আমেরিকার শুল্ক চাপানোর বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছিলেন তিনি। এ বার সেই প্রশ্নের জবাব দিল বাণিজ্য মন্ত্রক।

আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে? তার ভবিষ্যৎই বা কী? তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে? তার ভবিষ্যৎই বা কী? তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে উদ্বেগে দেশ। এই প্রেক্ষিতেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লোকসভায় (Parliament) একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন। চুক্তির বর্তমান অবস্থা, সম্ভাব্য সময়সীমা, এবং আমেরিকার শুল্কনীতির ফলে ভারতীয় রপ্তানিতে প্রভাব নিয়েই ছিল তাঁর প্রশ্নের ক্ষেত্র। অবশেষে বাণিজ্য ও উদ্যোগ মন্ত্রক সেই প্রশ্নগুলির বিস্তারিত জবাব দিয়েছে, যেখানে উঠে এসেছে আলোচনার অগ্রগতি থেকে শুরু করে শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা—সবই।
বানিজ্য ও উদ্যোগ মন্ত্রীর কাছে অভিষেকের প্রশ্ন ছিল, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে? তার ভবিষ্যৎই বা কী? আনুমানিক কবে একটি কাঠামোগত চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? এই ধরনের শুল্ক নীতি কার্যকর হলে ভারতীয় পণ্যের জন্য অনুকূল শর্ত বা ছাড় নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?
advertisement
advertisement
লোকসভায় বাণিজ্য ও উদ্যোগ প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ উত্তরে জানিয়েছেন, ভারত–মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (BTA) নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ২০২৫ সালের মার্চে। ইতিমধ্যেই পাঁচ দফা বৈঠক হয়েছে, সর্বশেষটি ১৪–১৮ জুলাই ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়। 
advertisement
প্রতিমন্ত্রী জানান, ৭ আগস্ট ২০২৫ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া কিছু পণ্যের ওপর ২৫% প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের মোট রপ্তানির প্রায় ৫৫% মূল্যের পণ্যে। এছাড়া, ২৭ আগস্ট থেকে ভারতীয় কিছু রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫% অ্যাড ভ্যালোরেম শুল্ক বসানো হয়েছে। তবে ওষুধ ও ইলেকট্রনিক্স খাতে আপাতত কোনও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপিত হয়নি।
advertisement
অভিষেক প্রশ্ন রাখেন, আলোচনার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে শুল্কের অনিশ্চয়তা বা বাণিজ্যিক বাধা নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কি? যদি না করে থাকে, তবে তার কারণ কী?
বস্ত্রসহ কিছু ক্ষেত্রে শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে পণ্যের ভিন্নতা, চাহিদা, মান এবং চুক্তিগত ব্যবস্থার ওপর। সরকার রপ্তানিকারক ও শিল্প প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে এবং কৃষক, শ্রমিক, MSME ও শিল্পখাতের স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেবে।
advertisement
প্রসাদ আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ভারতের লক্ষ্য হলো শুল্ক স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য পূর্বানুমানযোগ্যতা নিশ্চিত করা, যাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের পরিবেশ আরও অনুকূল হয়।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি কোথায় দাঁড়িয়ে? শুল্ক বৃদ্ধির ভবিষ্যৎ কী? লোকসভায় অভিষেকের প্রশ্নের জবাব দিল কেন্দ্র
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement