প্যানডেমিকের ফায়দা লুটছে অসাধুরা, অসহায়ের পাশে দাঁড়ানো উচিত : অঙ্কুশ

Last Updated:

করোনা আবহেই শুটিংয়ে ফিরেছেন অঙ্কুশ। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজা চন্দের ম্যাজিক ছবির শুটিং।

#কলকাতা: করোনা আবহেই শুটিংয়ে ফিরেছেন অঙ্কুশ। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজা চন্দের ম্যাজিক ছবির শুটিং। তার মাঝেই অফ ডে-তে অঙ্কুশ এলেন নিউজ 18 বাংলা লাইভে। সরাসরি দর্শকের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করলেন। বেরিয়ে পড়ল এক অন্য অঙ্কুশ। সিনেমার বাইরের মানুষ। লিখছেন শর্মিলা মাইতি
করোনা আবহেই শুটিংয়ে ফিরেছেন অঙ্কুশ। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজা চন্দের ম্যাজিক ছবির শুটিং। তার মাঝেই অফ ডে-তে অঙ্কুশ এলেন নিউজ 18 বাংলা লাইভে। সরাসরি দর্শকের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করলেন। বেরিয়ে পড়ল এক অন্য অঙ্কুশ। সিনেমার বাইরের মানুষ। লিখছেন শর্মিলা মাইতি
এই মহামারীর শুরু থেকেই সকলকে সচেতন করেছেন অঙ্কুশ। নিজের সোশাল মিডিয়া থেকে জনগণের উদ্দেশে বলেছেন কী কী ভাবে নিজের ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। কখনও মজাচ্ছলে, কখনও সিরিয়াস হয়ে। কখনও দর্শককে আনন্দ দেওয়ার জন্য নতুন ডান্স মুভ উপহার দিয়েছেন। যারা অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা জুটিকে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য দুজন মিলে ছোট্ট ছোট্ট হাস্যকৌতুক করেছেন। সব মিলিয়ে মহামারীর আতঙ্ক কে ঘাড়ে চেপে বসতে দেননি কারওর।
advertisement
এই প্রথমবার নিউজ18 বাংলার সোলো লাইভে এসে দর্শকের সঙ্গে আড্ডা দিলেন। জনৈক দর্সুশকের প্রশ্ন ছিল, এই লকডাউনে অনেকেই ভাল ভাল রান্না করে ছবি পোস্ট করছেন। সেলিব্রিটিরাও বাদ নেই। এমন এক কঠিন সময়ে যখন মানুষ সহায় সম্বলহীন, চাকরি হারিয়ে বাড়িতে অন্নসংস্থান পর্যন্ত করতে পারছেন না, সেই সময়ে কি এমন দেখানেপনা শোভা পায়?
advertisement
advertisement
প্রশ্নটার খুব সোজাসাপটা জবাব দিলেন অঙ্কুশ। কোনও ভণিতা না করে বললেন, "একেবারেই নয়। কিন্তু কাকেই বা কী বলার আছে? মহামারীর এই সিচুয়েশনে যখন কাল কী হবে কেউ জানে না, তখনও অসাধুরা ফায়দা লুটছে। ফের স্যানিটাইজার থেকে করোনারোধক টোটকা, সবকিছুর ব্যবসা চলছে যা এককথায় অমানুষিক। অমানবিক। অসহায়তার সুযোগ না নিয়ে পাশে দাঁড়ান উচিত। মানুষের অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা করা উচিত না। "
advertisement
সরকারি করোনা রিলিফ ফান্ডে তিনি নিজেও দান করেছেন। দান করেছেন আমফান বিধ্বস্ত এলাকার স্বার্থেও। তিনি চান, তাঁর অনুরাগীরাও একইরকমভাবে এগিয়ে আসুন। " এই লকডাউনে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে সিনেমার শিল্পীদেরও । বহুদিন কাজ না করে বসে থাকতে হয়েছে। জমানো টাকা ফুরিয়ে এসেছে। "আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি । লকডাউনে কেস জন্ডিস নামে একটি ওয়েব সিরিজ করলাম। পরমব্রতর সঙ্গে। বাড়ি থেকে শুট করে। বেশ ভাল লেগেছে দর্শকের। তবে প্যানডেমিকের পর সব সিনেমা হলে রিলিজ করার খুব দরকার । সিনেমার ভবিষ্যত আপনাদের হাতে।" বললেন অঙ্কুশ।
advertisement
নিজের বাড়ির বেডরুম থেকে কথা বলছিলেন অঙ্কুশ। আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে ছোট্ট কুকুরছানা। দর্শকের প্রশ্ন ছিল, প্রথম ছবি কেল্লা ফতে টিভিতে দেখলে কেমন লাগে? বেশ জ্বলজ্বলে হয়ে উঠল অঙ্কুশের চোখমুখ। "প্রথম ছবি দেখার স্বাদই আলাদা। এখনও স্টার জলসায় দিলে মগ্ন হয়ে দেখি। নস্টালজিয়া ঘিরে ধরে। অনেক কথা মনে পড়ে। "
এখনও কাজ করা হয়নি চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গে। অঙ্কুশের প্রিয় তারকা। " সত্যি বলতে কী, ওঁর সঙ্গে একটা কাজের কথাবার্তা অনেক দূর পর্যন্ত হয়েও থমকে আছে। ইচ্ছা আছে অভিনয়জীবনে একবার যেন ওঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাই। "
advertisement
কখনও পুরোদস্তুর ভিলেনের চরিত্র পেলে করবেন? "আমি নিজেই কত পরিচালককে বলেছি, একদম আউট অ্যান্ড আউট ভিলেন চরিত্র করতে চাই। হার্ডকোর নেগেটিভ। অ্যান্টিহিরো টাইপ নয়। দেখি পাই কি না, পেলে প্রমাণ করে দেব নিজেকে। উজাড় করে দেব যাকে বলে। আপনারা হিরো অঙ্কুশের সঙ্গে মেলাতেই পারবেন না।" বললেন তিনি।
বর্ধমান থেকে এক দর্শক তাঁর স্কুলের কথা জিজ্ঞাসা করলেন। "আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কেটেছে স্কুলে। বারো বছর পড়াশোনা করেছি। ঐ স্কুল থেকে যা আন্তরিকতা পেয়েছি, সেটাই আমার সম্পদ। আজও যখন যাই, মনে হয় পরিবারের সঙ্গেই আছি। আমার ভিত গড়ে দিয়েছিলেন মাস্টারমশাইরা। "
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
প্যানডেমিকের ফায়দা লুটছে অসাধুরা, অসহায়ের পাশে দাঁড়ানো উচিত : অঙ্কুশ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement