উদুপি: কর্ণাটক বেশ কিছু ঐতিহাসিক প্রথার জন্য সুপরিচিত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল Kole Basava। এই প্রথায় ষাঁড়কে সাজিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ষাঁড়ের কপালে একটি চিহ্ন থাকত এবং চিহ্নটি স্পর্শ করে লোকেরা প্রার্থনা করতেন এবং দান করতেন।
পরে ডিজিটাল পেমেন্টের হাত ধরে কিছুটা বদল আসে এই প্রথায়। ২০২১ সালে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একটি ট্যুইট করেন। সেখানে দেখা যায় ষাঁড়ের মাথায় QR কোড লাগানো আছে। প্রার্থনা সেরে সেই QR কোড স্ক্যান করে যে কেউ টাকা দিতে পারবেন।
Recd a video of a Gangireddulata, where alms are given thru a QR code! India’s #digitalpayment revolution, reaching folk artists. In AP + Telangana, Gangireddulavallu dress up old oxen no longer helpful on farms, walk door to door during fests, performing with their nadaswarams pic.twitter.com/8rgAsRBP5v
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) November 4, 2021
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সেই ট্যুইট দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে উদুপির শিল্পী গণেশ হাভাঞ্চে ষাঁড়ের একটি প্রতিরূপ তৈরি করেছেন। আর সেই প্রতিরূপ দেখে হতবাক অনেকেই। ষাঁড়টির মাথার উপর QR কোড রয়েছে। ষাঁড়টিকে একটি ভাস্কর্য আকারে তৈরি করা হয়েছে এবং এর সাথে একটি বাদ্যযন্ত্র সংযুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে। QR কোড স্ক্যান করে যখন অর্থপ্রদান করা হবে তখনই ষাঁড়টির মাথা কাঁপবে। বেঙ্গালুরুতে সাম্প্রতিক G20 অর্থমন্ত্রীদের শীর্ষ সম্মেলনে এটি প্রদর্শিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন, প্রবল গরমে বাড়ির বয়স্কদের কথা ভাবুন! কীভাবে সুস্থ রাখবেন, জেনে নিন কিছু টিপস
আরও পড়ুন, AC, কুলারের প্রয়োজন নেই! একটুকরো বরফই করে দেবে আপনার ঘর ঠান্ডা, জানুন কীভাবে
রিপোর্ট অনুসারে গণেশ হাভাঞ্জে শুধুমাত্র দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আগে তিনি মুম্বইতে ক্যান্টিন কর্মী হিসাবে কাজ করতেন এবং বিভিন্ন শিল্পকলার কাজেও যুক্ত ছিলেন। নিজের চেষ্টায় অসামান্য কিছু করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি কোনও পেশাদার প্রশিক্ষণ ছাড়াই ভাস্কর্য তৈরি করতে শুরু করেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Artist