মাঠে চাষ করতে গিয়ে ৬০ লক্ষ টাকার হীরে কুড়িয়ে পেলেন অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষক

Last Updated:

রোজের রুটিমাফিক মাঠে চাষ করতে গিয়ে ৬০ লক্ষ টাকার হীরে কুড়িয়ে পেলেন অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল জেলার গোলাভানেপল্লী গ্রামের এক কৃষক

#অন্ধ্রপ্রদেশ: রোজের রুটিনমাফিক সেদিনও মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন কৃষক! কে জানত, কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর জীবন আমূল বদলে যেতে চলেছে! লাঙল দিয়ে মাটি চষছিলেন, আচমকা দেখতে পেলেন মাটিতে জ্বলজ্বল করছে স্বচ্ছ একটি পাথর । সন্দেহ হয় কৃষকের! পাথরটি কুড়িয়ে সোজা হাজির গয়নার দোকানে। পাথরটি পরীক্ষা করেই চোখ কপালে ওঠার যোগাড় দোকানের মালিকের! স্বচ্ছ পাথরটি আসলে বেশ বড়সড় একটি হিরে। বাজার মূল্য অন্তত ৬০ লক্ষ টাকা!
ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল জেলার গোলাভানেপল্লী গ্রামে। গোটা ঘটনাটি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না ওই চাষি। জানা যায়, তাঁর থেকে ১৩.৫ লক্ষ টাকা ও পাঁচ তোলা সোনার বিনিময়ে হিরেটি কিনেছেন আল্লাহ বক্স নামে এক স্থানীয় হিরে ব্যবসায়ী।
গোটা ঘটনাটি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না ওই চাষি। তবে, অন্ধ্রপ্রদেশের এই অংশে হিরে খুঁজে পাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও কুরনুল জেলা ও তার আশেপাশের চাষের ক্ষেত, নদীর পার থেকে হিরে খুঁজে পেয়েছেন অনেকে। চলতি বছরেই ১২ জুন জন্নাগিরি গ্রামে ভেড়া চড়াতে বেরিয়ে হিরে খুঁজে পান এক ভেড়া-পালক।
advertisement
advertisement
এ তো গেল মাটির উপরের কথা! সম্প্রতি এক এক পরীক্ষায় ভূস্তরের গভীরে সিসমিক রশ্মি পাঠিয়ে আমেরিকার ভূতত্ত্ব বিভাগের ভূ-বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, পৃথিবীর গভীরে জমে রয়েছে কয়েক লক্ষ কোটি টন হীরে। কিন্তু, একটাই সমস্যা! নাগাল পেতে গেলে কয়েক হাজার কিলোমিটার পাতালে প্রবেশ করতে হবে। এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে 'জিওকেমিস্ট্রি, জিওফিজিক্স, জিওসিস্টেম' জার্নালে। কিন্তু হঠাৎ এমন পরীক্ষা কেন? আসলে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ভূ-বিজ্ঞানীরা একটা পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দেখা যাচ্ছিল, ভূপৃষ্ঠের ১৬১ কিমি গভীরে সিসমিক রশ্মি স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে চলে! জানা গিয়েছে, ওই অঞ্চলে ক্রেটোনোক শিকড়ের সমাবেশ রয়েছে। পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জোশুয়া গার্বারের মতে, বজ্রকঠিন প্রাচীন পাথরে তৈরি হেঁটমুণ্ডু পাহাড়ের আকৃতির এই সমস্ত শিকড়ের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে মহাদেশগুলি।
advertisement
পৃথিবী সৃষ্টির দুই কোটি বছরে এই সব পাথরের জন্ম হয়। কয়েকটি বিরল আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে পৃথিবীর গভীর থেকে যে ম্যাগমা উদ্গীরণ হয়, তা পরীক্ষা করেই প্রাগৈতিহাসিক পাথরের হদিশ পাওয়া যায়। কিন্তু ক্রেটোনিক শিকড়ের সঠিক উপাদান এবং কী কারণে তার ভিতরে প্রবেশ করলে সিসমিক রশ্মির গতি বেড়ে যায়, সেই রহস্যের সমাধান এখনও হয়নি! সাম্প্রতিক পরীক্ষায় গবেষকরা সিসমিক তথ্যাবলী পর্যালোচনা করে ওই পাথরের উপাদান সমষ্টি বুঝতে চেষ্টা করেন। আর তখনই মেলে বিস্ফোরক তথ্য! পৃথিবীর বুকে জমা রয়েছে রাশি রাশি হীরের স্তূপ।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
মাঠে চাষ করতে গিয়ে ৬০ লক্ষ টাকার হীরে কুড়িয়ে পেলেন অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষক
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement