নব্বইয়ের দশকের বন্ধুত্ব আর কেকে সমার্থক৷ এক ঝটকার সেই বন্ধুত্বের সুতো ছিঁড়ে চলে গেলেন কেকে, অসংখ্য মানুষের হৃদয় শূন্য করে, একটা গোটা প্রজন্মকে বিনিদ্র রজনী উপহার দিয়ে৷ গানের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। বলেছিলেন, কলকাতা আমি আসছি৷ এলেন তো বটে, কিন্তু শহর ছাড়লেন কফিনবন্দি হয়ে।
আরও পড়ুন: 'বুকে ব্যথা সহ্য করেই গান করছিলেন!' জানালেন ফিরহাদ হাকিম! শেষ ভিডিওতে কেকে-র মুখে যন্ত্রণা স্পষ্ট!
তাঁর গান গত দুদিন ধরে আপামর ভারতবাসীর প্লে লিস্টে বাজছে৷ জনপ্রিয় দুগ্ধ ব্র্যান্ড আমুল কেকে কে শ্রদ্ধা জানাল৷ আমুল কেকের উদ্দেশ্য একটি একরঙা ডুডল করেছে যাতে তাঁর দুটি ছবি রয়েছে৷ দুটি ছবিই মঞ্চে গায়কের শেষ মুহুর্তের ছবি, তারপরেই শেষ হয়ে গিয়েছিল সব৷ "ইয়ারো...ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল।"- এটাই লেখা শ্রদ্ধার্ঘ্যে৷
হাজারো সংবেদনশীল সঙ্গীতপ্রেমীকে নিস্তব্ধ করে চলে গেলেন কেকে। কৃষ্ণকুমার কুন্নথ। নজরুল মঞ্চে অত্যধিক সংখ্যায় দর্শক, ভিড়, গরমে, দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতেও যিনি থেমে যাননি। গানে বেঁচেছেন, গানেই থেকে গেলেন। মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গাইতেই অসুস্থ বোধ করছিলেন কেকে। বারে বারে তোয়ালে দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে স্পটলাইট নিভিয়ে দিতেও বলতে দেখা যায় গায়ককে। প্রবল ভিড়ে কাজ করেনি নজরুল মঞ্চের শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রও। ধর্মতলার যে পাঁচতারা হোটেলে উঠেছিলেন কেকে সেখানে ফিরে অসুস্থতা আরও বাড়লে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই গায়ক।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: KK Death