#নয়াদিল্লি: হাজার হাজার মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন ওঁরা। কেউ অনাহারের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন,কেউ পরিবেশ বাঁচাতে কাজ করছেন, কেউ বা পিছিয়ে পড়া মহিলাদের স্বনির্ভর করেছেন। ৭ নারীর জীবনের গল্প আজ প্রধানমন্ত্রীর সোশাল অ্য়াকাউন্টে।৭ নারীর লড়াইয়ের গল্প। এতদিন মুখ বুজে লড়াই করেছেন। সমাজকে বদলে ফেলার লড়াই। মানুষকে আরও একটু ভালো রাখার লড়াই। তাঁদের জীবনযুদ্ধ আজ সকলের সামনে। প্রধানমন্ত্রীর সোশাল অ্যাকাউন্টে।সোশাল মিডিয়া ছাড়ছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটে জল্পনা বেড়েছিল। হঠাৎই ট্যুইটে টুইস্ট। নারীদিবসে নারীদের হাতে নিজের অ্যাকাউন্ট তুলে দিতে চান বলে ফের ট্যুইট করেন মোদি। নারীদিবসে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথম টুইট চেন্নাইয়ের স্নেহা মোহনদাসের। সহায়-সম্বলহীন মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ফুডব্যাঙ্ক তৈরি করেছেন স্নেহা। শুরুটা কঠিন হলেও এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি শাখা সহ ফুড ব্যাঙ্কের ১৮টি শাখা রয়েছে। বিনা পয়সায় ফুটপাতবাসীদের খাবার বিলি করেন স্নেহা।জলসংকট এখন গোটা বিশ্বের মাথাব্যাথা। তাই একফোঁটা বৃষ্টির জল যাতে নষ্ট না হয়, নিজের বাড়িতেই তার ব্যবস্থা করেছেন হায়দরাবাদের আর্কিটেক্ট কল্পনা রমেশ। তাঁর প্রতিবেশীরাও সেই জল ব্যবহার করেন।এখানেও শেষ নয়, আছেন আরও সাহসিনী ৷ ১৫ বছর বয়সে বিস্ফোরণে হাতদুটো হারিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাণশক্তি হারাননি। মনের জোরেই আজ ডক্টরেট হয়েছেন মালবিকা আইয়ার। আইয়ারের মতোই নারী শক্তির প্রতিভূ মহারাষ্ট্রের এক প্রত্যন্ত গ্রামের বিজয়া পাওয়ার। তাঁর হাত ধরে আজ স্বনির্ভর হয়েছেন আরও অনেক নারী। বানজারাদের হারিয়ে যাওয়া হাতের কাজ নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
জীবন ও সমাজ বদলানোর লড়াইয়ে দৃষ্টান্ত রেখেছেন ওঁরা সকলেই। সেইসব নারীদের কুর্নিশ জানিয়েই আজ সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তাঁদের নামে।
Published by:Elina Datta
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।