#গোধরা: ২০০২ সালে গোধরা ট্রেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল গোধরার একটি আদালত। গোধরায় ট্রেনে আগুন লাগিয়ে ৫৯ জন ‘করসেবকে’র হত্যা গুজরাতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাঙ্গার সূত্রপাত করেছিল। শনিবার গুজরাতের পঞ্চমহল জেলার গোধরায় একটি অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদালত অভিযুক্ত রফিক ভাতুককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল রফিককে। গত বছর তাঁকে গ্রেফতারের পর এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন- "খুশি হতেন জয়ললিতা": দক্ষিণেও দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন AIADMK সহ বিজেপির সঙ্গীদের
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘করসেবকদের’ নিয়ে অযোধ্যা থেকে ফেরার একটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। ৫৯ জন করসেবকের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। ওই হিংসায় ১,২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, যাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ।
বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আরসি কোডেকার জানিয়েছেন, রফিক ভাতুক এখনও পর্যন্ত এই মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৩৫ তম অভিযুক্ত। তিনি জানিয়েছেন, বিচারক এক্ষেত্রে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
পঞ্চমহল পুলিশের একটি স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গোধরা শহরের একটি এলাকা থেকে রফিক ভাতুককে গ্রেফতার করে। এই মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরেই গোধরা থেকে পালিয়ে যান রফিক এবং ফের এখানে ফিরে আসার আগে বিভিন্ন শহরে দিন কাটিয়েছেন রফিক।
আরও পড়ুন- বেড়েই চলেছে লাশের সংখ্যা! মণিপুরে ভূমিধ্বসে উদ্ধার আরও ৮টি দেহ, নিখোঁজ ৩৪!
এর আগে, একটি বিশেষ SIT আদালত ২০১১ সালের ১ মার্চ এই মামলায় ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
গুজরাট হাইকোর্ট ২০১৭ সালের অক্টোবরে ১১ জন দোষীর মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করে। বিশেষ এসআইটি আদালতের দেওয়া ২০ জনের শাস্তি বহাল ছিল। পরে এ মামলায় আরও তিনজনকে দুই দফায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Gujrat