হোম /খবর /নদিয়া /
রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কিন্তু নার্সিংহোমের বিল ২২ হাজার টাকা! বিপাকে পরিবার

Nadia News: রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কিন্তু নার্সিংহোমের বিল ২২ হাজার টাকা! বিপাকে পরিবার

এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন রোগীর পরিবার

এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন রোগীর পরিবার

Nadia News: ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার শান্তিপুর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মঞ্জু দত্তের সঙ্গে

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

নদিয়া: বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করার সময় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়া হলেও, চিকিৎসার পাঁচ দিন বাদে সুস্থ হয়ে রোগীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় বিল দেওয়া হল ২২ হাজার টাকার। যেখানে কার্ডের মাধ্যমে মাত্র ৬৮০০ টাকা বিল হওয়ার কথা ছিল। এমনটাই অভিযোগ অসুস্থ বৃদ্ধার দুই মেয়ের। ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার শান্তিপুর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মঞ্জু দত্তের সঙ্গে।

তাঁর মেয়ে মন্দিরা সরকারের কথা অনুযায়ী, গত ২০ এপ্রিল তাঁর মা মঞ্জু দেবীকে পেটের যন্ত্রণা এবং বমি নিয়ে ভর্তি করান শান্তিপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। ভর্তির সময় তাঁরা জমা দেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এরপর গত ২৫ তারিখ তিনি সুস্থ হলে, স্বাভাবিক বিল ২২ হাজার টাকা দেখে চক্ষু চড়ক গাছ তাঁদের। কাঁসারীপাড়ায় ৭২ বছর বয়সী মঞ্জু দত্ত, একাই থাকতেন স্বামী খগেন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যুর পর থেকে।

 

পায়রাডাঙ্গার সুদীপ্তা সাহা, এবং শান্তিপুরের মন্দিরা সরকার দুই মেয়ে খোঁজ খবর রাখতেন মায়ের। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে যে চিকিৎসার মাত্র ৬৮০০ টাকায় হওয়ার কথা, তা ২২ হাজার টাকা চাওয়ার কারণে তাঁরা পড়েন সমস্যায়। ২৫ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত তিনদিন মাকে সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও বাড়িতে নিয়ে আসতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এরকম এক পরিস্থিতির মধ্যে, স্থানীয় কাউন্সিলর প্রশান্ত গোস্বামী এবং তাঁর পুত্র বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী শরণাপন্ন হন তাঁরা।

নার্সিংহোম মালিক প্রদীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, কার্ডটি ত্রুটিপূর্ণ। টাকা ছাড়াই একটা লিখিত দিয়ে ওই পেসেন্ট ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে. কিন্তু আমরা বিকাল চারটে পর্যন্ত ওই পরিবারের বাড়ি যাওয়ার কোনও খবর পাইনি।

আরও পড়ুন, বাড়িতে পিঁপড়ের সমস্যায় নাজেহাল? রান্নাঘরের এই জিনিসই করে দেবে সমাধান, জেনে নিন

আরও পড়ুন, 'এটা তো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কে চক্রান্ত করছে!' কী ইঙ্গিত দিলেন অভিষেক

বিষয়টি নিয়ে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় সিঙ্গেল কার্ড থাকলে এ ধরনের সমস্যা হয়। তবে ওনারা যদি পৌরসভার দ্বারস্থ হতেন, তাহলে আমরাই চিঠি করে বিভাগীয় দফতরে সংশোধন করার ব্যবস্থা করে দিতে পারতাম। তবে ওই পরিবার পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

Mainak Debnath

Published by:Suvam Mukherjee
First published:

Tags: Swasthya sathi card