ধানতলা: অবশেষে মিলল শংসাপত্র। ২০০৩ সালের ৩০ মার্চ কাশ্মীরে কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা কালীন তুষার ঝড়ে পড়ে মারা যান বিএসএফ এর ১০৬ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কনস্টেবল বিজয় পাল। তার মৃত্যুর ২০ বছর পর নদিয়ার ধানতলা থানার আড়ংঘাটার বাড়িতে ক্যাজুয়ালটি অপারেশন সার্টিফিকেট পৌঁছে দিলেন বিপর্যয় মোকাবেলা দফতরের কর্মীরা।
এইদিন বিকালে তার বাড়িতে বিপর্যয় মোকাবেলা দফতরের কর্মীরা উপস্থিত থেকে শহীদ বিজয় পালের শহিদ গলায় মাল্যদান করেন এবং তাদের পরিবারের হাতে তার মৃত্যুর শংসাপত্র তুলে দেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার এই সমস্ত শহিদ বীর জওয়ানদের পরিবারের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়ে এসেছেন। আর সেই সমস্ত সুযোগ পেতেই সার্টিফিকেটটি কাজে লাগবে তার পরিবারের। এতদিন এই শংসাপত্র না থাকায় বিভিন্ন রকমের সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন এই পরিবারটি। এখন এই শংসাপত্র পাওয়ার ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে শহীদ বিজয় পালের পরিবার।
আরও পড়ুন: ফসল বাঁচাতে চাষিরা নিকাশি নালা বন্ধ করতেই নোংরা জলে ভেসে গেল রাস্তা
প্রসঙ্গত দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে প্রাণের মায়া ত্যাগ করতে হয় জওয়ানদের। বাংলার সন্তান বিজয় পালও ডিউটিতে থাকাকালীন তুষার ঝরে শহিদ হন। শহিদ জওয়ানের পরিবারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা বর্তমানে সরকার থেকে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় ২০ বছর শংসাপত্র বাড়িতে না আসার ফলে বেশ কিছু সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়ে গিয়েছিল শহিদ বিজয় পালের পরিবার। তবে দীর্ঘ কুড়ি বছর পর এই শংসাপত্র হাতে পেয়ে খুশি তার পরিবার।
মৈনাক দেবনাথ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jawan, Nadia, Nadia news