নদিয়া: টোটোর দাপটে শান্তিপুরে পথ চলাই দায়। সেইসঙ্গে ফুটপাত দিয়েও হাঁটার উপায় নেই। তা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর দখলে চলে গিয়েছে। সেখানে গড়ে উঠেছে ছোট বড় দোকান। ফলে সকাল থেকে রাত, শান্তিপুরের রাস্তায় যানজটই যেন স্বাভাবিক চিত্র। তবে রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশে শহরকে যানজট মুক্ত করতে নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব শান্তিপুর পুরসভায় একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি শান্তিপুরের কমার্শিয়াল ও ডোমেস্টিক এলাকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য পুর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই সেই রিপোর্ট তৈরি করে নবান্নে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে খবর। এই বিষয়টি চিহ্নিত করতে গিয়েই শান্তিপুরের যানজট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞদের অভিমতের ভিত্তিতে শান্তিপুরের যানজটের কারণ হিসেবে মূলত টোটোর দৌরাত্ম্যকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর পুরসভার সিদ্ধান্ত নেয়, শহরের বুকে টোটো চললেও তা নিয়ম মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: দার্জিলিঙে গড়ে উঠল দেশের সেরা পশু হাসপাতাল!
টোটকে নিয়ন্ত্রণে আনতে টোটো ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুর কর্তারা বৈঠক করেন। পাশাপাশি ঠিক হয় গ্রাম এবং শহরের টোটোকে আলাদা চিহ্নিতকরণ করা হবে। এদিকে শহরবাসীর অভিযোগ, শান্তিপুর সুত্রাগড় তাঁত কাপড়ের হাট সংলগ্ন এলাকায় ফুটপাত দখল করে দোকানের গড়ে ওঠায় রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায় না। আর তাই স্কুলে বাচ্চাদের উপস্থিতির হার কমে গেছে। কাশ্যপ পাড়া দিয়ে হেঁটে চলাচলের পরিস্থিতি নেই। ডাকঘর থেকে বড়বাজার সর্বত্র একই চিত্র। এই বিষয়টি নিয়েও পুরসভার বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানে ঠিক হয়, সাধারণ মানুষের যাতায়াতে ব্যাঘাত ঘটিয়ে ফুটপাত দখল করে রাখা চলবে না।
এই বিষয়ে ব্যবসায়ী সমিতি পুরসভাকে সহযোগিতা করার আশ্বাস নিয়ে গেছে। ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা দোকানগুলির মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের রুটিরুজির ব্যবস্থা হয়। সেই বিষয়ে শান্তিপুর পুরসভা কী ভাবছে প্রশ্ন করায় পুরপ্রধান সুব্রত ঘোষ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আগামী দিনে কর্মতীর্থ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে। তবে কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করা যাবে না।
মৈনাক দেবনাথ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Santipur