নদিয়া: অত্যধিক গরম ও প্রখর রোদে ব্যাপক ক্ষতির মুখে শিমুরালির পান চাষ। অত্যধিক উষ্ণতায় শুকিয়ে যাচ্ছে পানের বরজ। ইতিমধ্যেই ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করতে শুরু করেছেন পান চাষিরা। তাঁদের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে সরকার বা কৃষি বিভাগের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না।
অতিবৃষ্টিতে যেমন পানের ক্ষতি হয় তেমনই একদম বৃষ্টি না হলেও তা পান চাষের ক্ষতি করে। এই বছর আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে আশেপাশের জলাশয় শূন্য। ফলে জল সেচ করাও সেভাবে সম্ভব হচ্ছে না। চিন্তায় পান চাষিদেরর মাথায় হাত। নদিয়ার শিমুরালির পান বিখ্যাত ছিল একসময়। দেশ-বিদেশে রফতানি হত এই পান। বহু শৌখিন মানুষ নির্দিষ্ট করে এখানকারই পান খেতেন। রাউতাড়ি, শিমুরালি এবং চাঁদুড়িয়া এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে শতাধিক বরজে পান চাষ হয়।
আরও পড়ুন: গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে
একচেটিয়া পান চাষের কারণে এখানকার পাইকারি পান বাজার যথেষ্ট নামকরা। কাকভোরে সেই বাজার বসে। এখানে মূলত মিঠা ও বাংলা অর্থাৎ ঝাল পান চাষ হয়। চলতি ভাষায় যাদের ভাবনা ও রাশ পান বলে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই বারুজীবি সম্প্রদায়ের। তাঁরা বংশপরম্পরায় পান চাষ করে আসছেন। তবে পান চাষ করে যথেষ্ট সচ্ছলতার সঙ্গে জীবন কাটান তাঁরা। সংসার সামলে সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়েও পয়সা বাঁচে। কিন্তু এই বছর যা পরিস্থিতি তাতে এত কিছু তো দূরের কথা, চাষের খরচটাও উঠবে কিনা তা নিয়েই সংশয়ে চাষিরা।
আমফানে শিমুরালির পান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। বরজ পরে গিয়েছিল। আজ পযর্ন্ত এই বিষয়ে কোনরকম আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়নি সরকারের কাছ থেকে। সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতে এই বছর আবার ভয়াবহ ক্ষতির মুখে এখানকার পান চাষ। এমন পরিস্থিতি হতে থাকলে শিমুরালির বিখ্যাত পানের বরজগুলি আগামী দিনে আর থাকবে কিনা তা নিয়েই সংশয় তৈরি হতে পারে বলে জানালেন চাষিরা।
মৈনাক দেবনাথ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Betel leaf