Mobile phone Addiction: মোবাইল ফোনে বুঁদ বাড়ির পড়ুয়া, এক নিমেষে ছাড়িয়ে দিন এই বদভ্যাস
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:KOUSHIK ADHIKARY
Last Updated:
Mobile phone Addiction: বর্তমানে মোবাইল গেমের প্রতি আকৃষ্ট ছাত্ররা। স্বল্প খরচেই মোবাইল ডেটা ব্যবহার করেই গেমের প্রতি ঘণ্টার পর ঘণ্টার মগ্ন।
মুর্শিদাবাদ: বর্তমানে মোবাইল গেমের প্রতি আকৃষ্ট ছাত্ররা। স্বল্প খরচেই মোবাইল ডেটা ব্যবহার করেই গেম খেলা যায় মোবাইলে, আর তাতেই নাকি ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যস্ত শিশু-কিশোররা৷
পড়াশুনো প্রায়ে লাটে তুলে দিয়ে এই কাজ করছে ছাত্ররা। ইতিমধ্যেই অনলাইন মোবাইল ফোন খেলতে গিয়ে হ্যাকিং-এর জেরে ফরাক্কাতে চার বন্ধুর হাতে খুন হতে হয় নাবালককে। যারা খুন করেছে তারাও সকলেই নাবালক। তবে সন্তানদের মোবাইল ফোনের গেমের অপর আকর্ষণ কমানোর জন্য টিপস দিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ জেলার প্রখ্যাত চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রঞ্জন ভট্টাচার্য । কীভাবে বাঁচাবেন ছাত্র ও ছাত্রীদের এই মারাত্মক আকর্ষণ থেকে। কী করবেন অভিভাবকরা। কী করা উচিত জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন – Shoaib Malik and Sana Javed: লুকিয়ে বিয়ে করতে ভালবাসেন শোয়েব! সানিয়ার আগেও বিয়ে ছিল পাক ক্রিকেটারের!
advertisement
চিকিৎসক ডাঃ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পাবজি থেকে বিভিন্ন যে মোবাইল গেম এসেছে এগুলো হল এম.এম.ও.আর.পি.জি। যার অর্থ হল ম্যাসিভ মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন রোল পেয়িং গেম। এর আকর্ষণ হল অত্যন্ত তীব্র। খুব অল্প পরিমাণ ডেটা ব্যবহার করেই তিনটে মোবাইল গেম খেলা যায়। এবং তার জন্য খুব উচ্চ মানের মোবাইল ফোনের দরকার নেই।
advertisement
তাই প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চল ও শহরতলিতে এই ফ্রি ফায়ার গেম অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। এই গেমগুলি প্রচণ্ড আসক্তি তৈরি করে৷ কারোর কন্ট্রোলে যখন এই গেম থাকে গেম যেখান থেকে খেলা হয় তার পয়েন্ট থেকেও মোবাইল গেম খেলা হয়।
এই গেম যদি একসঙ্গে অনেকেই খেলতে থাকেন তাহলে অফবিট বা ভার্চুয়াল রিয়ালিটির সুযোগ আসে। তাই পার্সওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে আরও বেশি সংখ্যক যদি এই গেমটা খেলা যায় এবং তা যদি না দেওয়া হয় তাহলে সমস্যা তৈরি হয়। যেমন মদ্যপান বা ড্রাগের আসক্তির মতো হয় আর এই ক্ষেত্রে বর্তমানে এই ঘটনা ঘটেছে।
advertisement
মোবাইলে আসক্ত বা ইন্টারনেট আসক্ত হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচার উপায় কী?
প্রথমত, ডিটেকশন অর্থাৎ ডিজিটাল ডিটেকশন করা হয়। বেশিক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করবেন না। দু’বছরের কম শিশুদের কার্টুন মোবাইল দেব না৷
২-১০ বছর বয়সে পড়াশুনোর ক্ষেত্রে সারাদিনে এক ঘণ্টার বেশি যেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়া হয়। ১০-১৮ বছর পর্যন্ত পড়ুয়াদের দিনে মাত্র দু’ঘণ্টা মোবাইল ব্যবহার করতে দেওয়া যেতে পারে।
advertisement
কিন্তু বর্তমানে যেভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে এই মোবাইল ব্যবহারের সংখ্যা তাই অনেকক্ষেত্রেই সন্তানদের নিজেদেরও থাকছে মোবাইল, তবে এক্ষেত্রে দরকার অভিভাবকদের গাইডেন্স। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই মোবাইল ফোন দেওয়া উচিত সন্তানদের।
বেশিক্ষণ যদি মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহার করলে একটা ডিজিটাল শক আসতে পারে। বাবা- মা যেন উপযাজক না হয়ে কার্টুন বা গেম খেলার জন্য সন্তানদের মোবাইল না দেন তার জন্যে কড়া বার্তা দেন চিকিৎসক ডক্টর রঞ্জন ভট্টাচার্য।
advertisement
Kaushik Adhikary
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 20, 2024 3:36 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/মুর্শিদাবাদ/
Mobile phone Addiction: মোবাইল ফোনে বুঁদ বাড়ির পড়ুয়া, এক নিমেষে ছাড়িয়ে দিন এই বদভ্যাস