Malda News: গুরু নানকের ব্যবহৃত কলসি চৌকি আজও রয়েছে মালদহে, তৈরি হয়েছে গুরুদুয়ারা
- Reported by:HARASHIT SINGHA
- news18 bangla
- Published by:Arjun Neogi
Last Updated:
গুরু নানকের স্মৃতি আজও রয়েছে মালদহে। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে তৈরি হয়েছে গুরুদুয়ারা। পুরাতন মালদহ পুরসভার সরবড়ী এলাকায় এই গুরুদুয়ারা অবস্থিত।
মালদহ: গুরু নানকের স্মৃতি আজো রয়েছে মালদহে। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে তৈরি হয়েছে গুরুদুয়ারা। পুরাতন মালদহ পুরসভার সরবড়ী এলাকায় এই গুরুদুয়ারা অবস্থিত। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস মালদহে তেমন নেয়। তবে এই জেলাতেও রয়েছে গুরুদুয়ারা। এই গুরুদুয়ারাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসেন শান্তি কামনায়। কথিত আছে এই গুরুদুয়ারা প্রাঙ্গনে গুরু নানক তিন মাস ছিলেন। সেই সময় আশেপাশের বহু মানুষ এখানে আসতেন। গুরু নানক তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কুয়োর জল পান করাতেই। সেই জল পান করে সমস্যার সমাধান মিলত। সেই রীতি আজো রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তরা এখানে আসেন কুঁয়োর জল পান করেন। ভক্তদের দাবি,কুয়োর জল পান করে অনেকেই মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। এমনকি মানসিক শান্তি মেলে। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা এখানে ভিড় করেন।কথিত আছে আনুমানিক ১৫৬৫-৬৬ খ্রিস্টাব্দে মালদহে এসেছিলেন শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক। বিহারের রাজমহল ঘাট হয়ে গঙ্গা পেরিয়ে মালদহে এসেছিলেন তিনি। পুরাতন মালদহে সরাসরি চলে এসেছিলেন গুরু নানক।
advertisement
তৎকালীন ওই এলাকার জমিদার ধর্মগুরু গুরু নানকের থাকার ব্যবস্থা করেন। তাঁর থাকার জন্য জায়গা দেন। সেখানেই ধর্মগুরু গুর নানক তিন মাস ছিলেন। সে সময় মালদহ জুড়ে চলছিল নানান সমস্যা আর্থিক অনটন থেকে শুরু করে নানান সমস্যায় ভুগছিলেন জেলার সাধারণ মানুষ। গুরু নানক কু্য়োর জল পান করাতেন এই এলাকার সাধারণ মানুষদের। জল পান করে বহু মানুষের সমস্যার সমাধান হতে থাকে। তখন থেকেই গুরু নানকের প্রতি স্থানীয় বাসিন্দাদের শ্রদ্ধা আরো বৃদ্ধি পায়। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসতে থাকেন এখানে।
advertisement
advertisement
এখনও গুরুদুয়ার প্রাঙ্গণে রয়েছে সেই প্রাচীন কুয়ো। এমনকি গুরু নানক যেখানে বসে স্নান করতেন সেই জায়গাটিও এখন রয়েছে। পাথরের তৈরি একটি পিড়িতে বসে স্নান করতেন। রয়েছে গুরু নানকের ব্যবহৃত কলসী। এছাড়াও আরো বেশ কিছু সামগ্রী রয়েছে। তিন মাস এখানে থাকার পর গুরু নানক ফিরে যান। কিন্তু তার স্মৃতি রয়ে যায় এখানে।জমিদার যে জায়গাটি গুরু নানককে দিয়ে থাকার জন্য দান করেছিলেন সেখানেই পরবর্তীতে তৈরি হয় গুরুদুয়ারা।
advertisement
আরও পড়ুন: High Blood Sugar Control Tips: ভয়ঙ্কর ব্লাডসুগারকে শেষ করে এই চার বাদাম, Diabetes মন্ত্রের মত কাবু করে
আনুমানিক ১৯৭০ সাল নাগাদ গুরুদুয়ারা তৈরীর কাজ শুরু হয়। গুরু নানকের স্মৃতি বিজাড়িত জায়গায় গুরুদুয়ারা তৈরির পর থেকেই ভক্তদের সমাগম আরো বেশি হতে থাকে। এখনো অনেকে এখানে আসেন প্রাচীন এই কুয়োর জল পান করতে। জল পান করার পরে নাকি মানসিক শান্তি মেলে সে প্রথা এখনো চালু।
advertisement
আরও পড়ুন: Nadia News: সাইকেলে করে ভারত ভ্রমণ! নদিয়ার রাজীবের গল্প মন ছুঁয়ে যাবে
গুরুদুয়ারার সেবায়েত লক্ষণ সিং বলেন, এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ আছেন। ধর্মগুরু গুরু নানক এই জায়গায় তিন মাস ছিলেন। কুয়োর জল পান করিয়ে বহু মানুষের সমস্যার সমাধান করেছিলেন। এখনো এই কুয়ো রয়েছে এখানে। মানুষের মধ্যে বিশ্বাস এই কুয়োর জল পান করলে শান্তি আসে। তাই এখনো অনেকে আসেন।
advertisement
হরষিত সিংহ
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Jul 27, 2023 12:44 AM IST








