হোম /খবর /হাওড়া /
লকডাউনে স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরাতে ডোমজুড়ে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন শিক্ষকরা

Howrah- লকডাউনে স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরাতে ডোমজুড়ে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন শিক্ষকরা

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব চিত্র

হাওড়ার ডোমজুড়ের রাজাপুর দক্ষিণবাড়ী হাইস্কুলের শিক্ষকরাও চেষ্টা করছেন লকডাউনের জেরে স্কুলছুটদের ফের স্কুলমুখী করতে।

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

    #হাওড়া- করোনা ভাইরাসের আগমনে দীর্ঘদিনব্যাপী লকডাউনের জেরে দেশজুড়ে একলাফে অনেকটাই বেড়েছে বেকারত্বের সংখ্যা । ঠিক তেমনই রাজ্যজুড়ে প্রায় ২০ মাস স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় বেড়েছে স্কুল ছুটের সংখ্যাও । আর্থিক অনটনে জর্জরিত হয়ে বহু বাবা - মায়েরাই বাধ্য হয়ে তাদের ছেলেদের অন্য জেলায় বা ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন কাজে । মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেকেরই বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে । শহরের চেয়ে গ্রামের দিকেই এই প্রথা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। জাতীয় স্তরে বেশ কয়েকটি পরিসংখ্যানেও সেই তথ্যই উঠে এসেছে ।অবশেষে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১৬ ই নভেম্বর থেকে খুলে গেছে রাজ্যের স্কুলগুলি। তাই সেই স্কুলের সমস্ত স্কুলছুট ছাত্র ছাত্রীদের অবিলম্বে স্কুলে ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছেন স্কুলের শিক্ষক , শিক্ষিকারা ।হাওড়ার ডোমজুড়ের রাজাপুর দক্ষিণবাড়ী হাইস্কুলের শিক্ষকরাও চেষ্টা করছেন লকডাউনের জেরে স্কুলছুটদের ফের স্কুলমুখী করতে। লকডাউনের আগে আশপাশের চকহরি , মহিষনালা , জাবতাপোতা , রাজাপুর , দক্ষিণবাড়ির মতো বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে বহু ছাত্রছাত্রী ওই স্কুলে পড়তে আসতো । কিন্তু স্কুল খোলার পর সেই সংখ্যাটি নেমে গেছে অনেক নীচে । এর কারণ খুঁজতে ওই স্কুলেরই সহ শিক্ষক সুজয় বর ও বিকাশ মাখাল ছাত্র - ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখতে পান স্কুলছুট ছাত্রদের বেশিরভাগই অন্য রাজ্যে পরিযায়ীর কাজে পারি দিয়েছে । আর মেয়েদের অনেকেরই এই জেলায় ও পাশের জেলাগুলিতে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেইসব ছাত্র - ছাত্রীদের ফের স্কুলে পাঠানোর জন্য তাদের মা - বাবাদের বোঝাচ্ছেন ওই স্কুলের শিক্ষক , শিক্ষিকারা ।এই বিষয়ে সুজয়বাবু জানান, "জীবন জীবিকার জন্য আমাদের যেমন প্রতিদিনই কাজ করে খেতে হবে, ঠিক তেমনই বাঁচতে গেলে শিক্ষাও আমাদের কাছে সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু এই অঞ্চল ও আশপাশের গ্রামগুলির আর্থ - সামাজিক অবস্থা অনেকটাই সঙ্গীন। পাশাপাশি করোনার জেরে কাজ হারিয়ে কপর্দকশুন্য হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। তাই বাধ্য হয়ে অনেক বাবা - মা ই তাদের সন্তানদের কাজে পাঠিয়ে দিয়েছেন  পাশাপাশি অনেক মেয়ের বাল্য বিবাহও হয়েছে এরই মধ্যে। স্কুল খোলা থাকলে বহু ছাত্র - ছাত্রীই স্কুলের টানে ও পড়ার টানে স্কুলে আসতো , পাশাপাশি সেখানে মিড ডে মিলও হত। ফলে এই প্রবণতা গুলিও কম হতো । " তবে স্কুল খোলার পর থেকে প্রতিনিয়ত সেইসব স্কুলছুট ছাত্র ছাত্রীদের ফের স্কুলে ফেরাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বাবা - মায়েদের বোঝানোর পাশাপাশি , তাদের সাহায্যে সব রকম ব্যবস্থাই করা হচ্ছে বলেই জানান সুজয়বাবু ।Santanu Chakraborty

    First published:

    Tags: Howrah, Lockdown, School, Student, Teacher