মন্দিরবাজারের নস্করবাড়িতে ৬ মন চালের নৈবেদ্য দিয়ে ৩০০ বছর ধরে চলছে দুর্গাপুজো
- Published by:Rukmini Mazumder
Last Updated:
মন্দিরবাজারের নস্করবাড়িতে ৬ মন চাল দিয়ে ৩০০ বছর ধরে চলছে দুর্গাপুজো। নবাবি আমলের এই পুজো এলাকায় পরিচিত ৬ বুড়োর পুজো হিসাবে।
lf#নবাব মল্লিক, মন্দিরবাজার : জোরকদমে চলছে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। মন্দিরবাজারের নস্করবাড়িতেও সমস্ত রীতিনীতি মেনে শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এলাকার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই পুজো। ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই পুজো। অন্যান্য পুজোগুলির থেকে এই নস্করবাড়ির পুজোর রীতিনীতি কিছুটা আলাদা। শাস্ত্র মেনে পুজো হয় এখানে। দেবীকে নৈবেদ্য হিসাবে দেওয়া হয় ৬ মন চাল। শুরুতে বাড়ির ৬ ভাই প্রত্যেকেই ১ মন করে চাল দিতেন। সেই থেকে চলে আসছে এই নিয়ম। বর্তমানে পুজোর জৌলুস কিছুটা হারালেও পুজোয় সমস্ত রীতিনীতি মেনে এখনও দেওয়া হয় ৬ মন চাল। পুজোর সময় দুর্গা ও রাধাগোবিন্দ একসঙ্গে পূজিত হন এখানে।
এই পুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ইতিহাস। বাংলার নবাব হুসেন শাহের সময় রায়দিঘীর ছত্রভোগের বাসিন্দা রামচন্দ্র লস্কর ছিলেন নবাবের দেওয়ান। দীর্ঘদিন ভাল কাজ করায় নবাব তাঁকে খুশি হয়ে উপাধি দিয়েছিলেন 'খাঁ'। সেই থেকে তাঁরা উপাধি হিসাবে ব্যবহার করতেন খাঁ লস্কর। তিন পুরুষ ধরে এই পদবী ব্যবহারের পর রামচন্দ্রের পৌত্র রামজীবন খাঁ লস্কর উপাধি ত্যাগ করে নস্কর উপাধি নিয়ে তিনি ও তাঁর ৫ ভাই চলে আসেন মন্দিরবাজারের জগদীশপুরে। এর প্রায় ২৫ বছর পর ৬ ভাই ১৭১৩ খ্রীস্টাব্দে সেখানে পুজো শুরু করেন। সেই থেকে এই পুজো এলাকায় পরিচিত ৬ বুড়োর পুজো হিসাবে।
advertisement
advertisement
নবাবি আমলে মহাধুমধাম করে এই পুজো হত। বর্তমানে এই পুজোর জৌলুস কিছুটা কমেছে। তবে ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভাটা পড়েনি এতটুকুও। আজও পুজোর দিনগুলিতে গমগম করে নস্করবাড়ির প্রাঙ্গণ। বিগত বেশ কয়েকবছর করোনা মহামারির কারণে পুজোয় ভিড় ছিল কিছুটা কম। তবে এবছর আবারও এই ঐতিহাসিক পুজো দেখতে ভিড় যে বাড়বে, তা আর বলার অবকাশ রাখে না।
advertisement
নবাব মল্লিক
view commentsLocation :
First Published :
September 05, 2022 6:28 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
মন্দিরবাজারের নস্করবাড়িতে ৬ মন চালের নৈবেদ্য দিয়ে ৩০০ বছর ধরে চলছে দুর্গাপুজো

