#নয়াদিল্লি: সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত। তবেই পেশি এবং হাড় মজবুত হবে। উন্নতি হবে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের। জেট যুগে মানসিক চাপের হাত থেকেও রেহাই মিলবে। প্রতিদিন ব্যায়ামের অনুশীলনে স্মৃতিশক্তি বাড়ে এমনকী ঘুমও ভালো হয়।
এসব সবাই জানে, এ জন্য রকেট সায়েন্স বোঝার দরকার নেই। কিন্তু ‘এক্সারসাইজ সায়েন্স’ না বুঝে ব্যায়াম করলে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়েই যায়। কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার জন্য সঠিক ভাবে ব্যায়াম করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে খুব সাধারণ ওয়ার্কআউট ভুলগুলো দেওয়া হল, যেগুলো না শোধরালে বড় ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়।
ব্যায়াম এড়িয়ে চলা: কার্ডিওভাসকুলার ট্রেনিং, স্ট্রেন্থ ট্রেনিং এবং ফ্লেক্সেবিলিটি ওয়ার্ক- একটি ভালো ফিটনেস রুটিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই তিনটির ভারসাম্যযুক্ত ওয়ার্কআউট রুটিনই শরীরকে ফিট এবং সুস্থ রাখে। সঙ্গে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু এর মধ্যে যে কোনও একটা এড়িয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে না।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে গাড়ি আটকে মারাত্মক কাণ্ড ধূপগুড়িতে! নৃশংস ঘটনার শিকার মহিলারাও
ঠিক করার উপায়- ৫ থেকে ১০ মিনিটের কার্ডিও এক্সারসাইজ করে অল্প বিরতি নিয়ে চলে যেতে হবে স্ট্রেন্থ ওয়ার্কআউটে। এরপর জয়েন্টগুলোকে সুস্থ রাখতে এবং শরীরকে আঘাতের হাত থেকে বাঁচাতে ৫ থেকে ১০ মিনিটের স্ট্রেচিং বা ফ্লেক্সেবিলিটি ওয়ার্কআউট করতে হবে।
প্রতিদিনের ব্যায়াম: প্রতিদিন ওয়ার্কআউট করা খুবই ভালো। বিশেষ করে ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিনই কোনও না কোনও শারীরিক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত থাকাটা ভালো ধারণা। কিন্তু প্রতিদিন একই মোডে ওয়ার্কআউট চালিয়ে যাওয়া মুশকিল। এক্ষেত্রে কাজের চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে। তাহলে আর অসুবিধা হবে না।
আরও পড়ুন: চলতে-চলতেই হঠাৎ বিয়েবাড়ির বাসে দাউদাউ আগুন, চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল কাঁথিজুড়ে
ঠিক করার উপায়- একটা ওয়ার্কআউট রুটিন তৈরি করে নিতে হবে। সেখানে কবে কোন ব্যায়াম করবেন তা আগাম ছকা থাকবে। যেমন যদি কেউ ৪০ মিনিট হাঁটতে বা দৌড়তে চান তাহলে সেটা সপ্তাহে ২-৩ দিন করতে হবে। সঙ্গে অন্যান্য ব্যায়াম। তাহলে সবকটা এক্সারসাইজে সমান জোর দেওয়া যাবে।
খাওয়াদাওয়া: এক্সারসাইজের পর প্রচণ্ড খিদে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এসময় খেতে হবে বুঝে শুনে মেপে জুপে। ব্যায়ামের পর হাই ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবেই ব্যায়ামের সময় যে ক্যালরি পুড়েছে তার ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে।
সাপ্লিমেন্ট: ব্যায়ামের পর অনেকেই স্পোর্টস ড্রিঙ্ক বা সাপ্লিমেন্ট নেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর খুব একটা দরকার নেই। ক্রীড়াবিদদের কিছু ক্ষেত্রে স্পোর্টস ড্রিঙ্কের প্রয়োজন হতে পারে, তবে বেশিরভাগ লিফটারদের জন্য জল হল সেরা হাইড্রেশন বিকল্প। বাজারে শয়ে শয়ে সাপ্লিমেন্ট রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগই বিজ্ঞাপনী চমক। যা শুধুই পকেট খালি করবে কাজের কাজ কিছুই হবে না।
শুধু জিমে গেলেই কাজ হবে না: কেউ প্রতিদিন জিমে যাচ্ছে, দুর্দান্ত ওয়ার্কআউট করছে কিন্তু দিনের বাকি সময়টা কাটাচ্ছে সোফায় শুয়ে বসে। তাহলে গোটা পরিশ্রমটাই মাটি। এতে শরীরে যে পরিমাণ ক্যালোরি জমা হবে তাতে জিমে যাওয়া না যাওয়া সমান। তাই কাজের মধ্যে কাটাতে হবে দিনের বাকিটা সময়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Weight Loss, Workout Mistake