Winter Travel: কলকাতার খুব কাছে ইতিহাসের খনি! একদিনের ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসুন!

Last Updated:

Winter Travel: একদিনের ঘোরার জন্য দারুণ জায়গা! কলকাতার খুব কাছে! জানুন

+
title=

পশ্চিম মেদিনীপুর: ডিসেম্বরের একটি দিন ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? ভালবাসেন ইতিহাস ঐতিহ্যকে? তবে আপনার জন্য এই স্থান একদম পারফেক্ট! কলকাতা থেকে খুব কাছেই রয়েছে ইতিহাসের এই অন্যতম নিদর্শন।শীতের সময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান এখানে। ইতিহাস প্রসিদ্ধ দাঁতনের মোগলমারি বৌদ্ধবিহার স্বাগত জানায় আপনাকে। ভ্রমনের পাশাপাশি যারা ইতিহাস ভালবাসেন, তাদের জন্য এই ঘোরার জায়গা অত্যন্ত মনোরম। একদিকে যেমন ঘুরে দেখতে পারবেন, তেমনই পাবেন প্রাচীন সময়ের ইতিহাসের স্বাদ।
খড়গপুর থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার রয়েছে ঐতিহাসিক মোগলমারি। মোগলমারি বর্তমানে একটি অখ্যাত গ্রাম নয়। বিশ্ববাসীর কাছে এক পরিচিত নাম। রয়েছে ইতিহাসের নিদর্শন। ইতিহাস নিয়ে নানান মতের পার্থক্য রয়েছে। বেশ কয়েকজন ইতিহাস গবেষক মনে করেন, রাজা বিক্রমাদিত্যের কন্যা সখীসেনার অধ্যয়নের জায়গা ছিল এটি। সেখান থেকে এই নাম এসেছে বলে মনে করা হয়। মোগলমারীর এই প্রত্নক্ষেত্র একটি পাঠশালা বলে মনে করা হয়।
advertisement
advertisement
অন্যদিকে চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং তার গ্রন্থ সি ইউ কি’ তে বঙ্গদেশের চার রাজ্যের বিশেষ বর্ণনা করেছিলেন- পুন্ড্রবর্ধন, সমতটী, কর্ণসুবর্ণ এবং তাম্রলিপ্ত। এই তাম্রলিপ্ত রাজ্যে ১০টি বৌদ্ধবিহার ও এক-হাজার বৌদ্ধ সন্নাসীর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছিলেন। এযাবৎকাল পর্যন্ত তাম্রলিপ্ত সন্নিহিত অঞ্চলে কোন বৌদ্ধবিহার-ই আবিষ্কৃত হয়নি, মোগলমারি ব্যতিত। পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন স্থলের মধ্যে মোগলমারি অন্যতম। যা আজ সখীসেনার পাঠশালার সকল জনশ্রুতির দ্বিধা দ্বন্দ্বকে দূরে সরিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অবস্থিত অন্যান্য বৃহৎ ও প্রাচীন বৌদ্ধ স্থাপত্যগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
advertisement
১৯৯৯ সালে সুবর্ণরেখার গতিপথ ধরে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের অধ্যাপক অশোক দত্ত দাঁতন-এর মোগলমারিতে এসে, সখিসেনা ঢিবি নামে এক ঢিবির সন্ধান দেন। ২০০৩-০৪ সাল নাগাদ খননকার্য শুরু হয় দাঁতনের মোগলমারিতে।খননে পাওয়া যায় নকশাযুক্ত ইট, বৌদ্ধ ভিক্ষু বা সন্ন্যাসীদের বাসস্থানের কুঠুরি। পাওয়া যায় ত্রিরথ কাঠামো যুক্ত নকশা, যা দেখে গবেষকদের প্রাথমিক অনুমান স্থানটিতে মন্দির বা গর্ভগৃহ ছিল। গ্রামের অভ্যন্তরে খনন চালিয়ে বেশ কয়েকটি বৌদ্ধস্তূপ ও এক বিশেষ ধরনের মৃৎপাত্র সহ নানা প্রত্ন সামগ্রী পাওয়া যায়।
advertisement
এরপর ২০০৬, ২০০৭ সাল নাগাদ খননে ঢিবির পূর্ব ও পশ্চিম দিকে পাওয়া যায় নকশাযুক্ত ইট দ্বারা সুসজ্জিত দেওয়াল, স্টাকো পলেস্তারা যুক্ত দেওয়াল, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের থাকার কুঠুরি। উদ্ধার হয় খণ্ড বিখণ্ড বুদ্ধের মূর্তিও।এরপর থেকে একের পর এক খননে নানান ইতিহাসের দলিল উদ্ধার হয়।ইতিহাস গবেষকরা জানিয়েছেন এটি ছিল একটি মহাবিহার।পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে মোগলমারিতে বৌদ্ধ বিহারের সংরক্ষণ ও সাজিয়ে তোলার কাজ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে পর্যটনের নতুন দিশা হবে দাঁতনের এই মোগলমারি বৌদ্ধবিহার। তাই শীতে কয়েক দিনের ছুটিতে একদিনের জন্যও ঘুরে দেখতে পারেন দাঁতন এর এই বৌদ্ধ বিহার।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Winter Travel: কলকাতার খুব কাছে ইতিহাসের খনি! একদিনের ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসুন!
Next Article
advertisement
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না...? অর্পিতাকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
‘লোকের দু’টো বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না..? অর্পিতা ইস্যুতে মুখ খুললেন পার্থ
  • ‘অর্পিতা আমার বান্ধবী, তাতে অসুবিধার কী আছে...?’

  • অর্পিতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

  • অর্পিতাকে নিয়ে ‘রং চড়িয়ে’ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি

VIEW MORE
advertisement
advertisement